বিবিসির এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়ে-চড়ে বসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ কিনে নিতে চান বেশ কয়েকজন ক্রেতা।
ফেসবুক এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়মের বরখেলাপ এবং ‘স্প্যাম’ বলছে। যদিও গ্রুপ বিক্রি সংক্রান্ত পরিষ্কার কোনো বিধিনিষেধ নিয়মে নেই। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের কোনো সাইট বিক্রি আমরা সমর্থন করি না। এর মধ্যে অ্যাডমিন দায়িত্ব বিক্রি এবং তৃতীয় পক্ষের কোনো বিজ্ঞাপন পেইজ বা গ্রুপের কোনো স্থানে প্রদর্শনও এর আওতাভুক্ত।
ফেসবুক আরও জানায়, গত নভেম্বরে যেসব আইডি সম্পর্কে বিবিসি আমাদের কাছে রিপোর্ট করেছে আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা কমিউনিটির সদস্যদের কাছে আহ্বান জানাই এ ধরনের বিষয় জানা থাকলে আমাদের কাছে রিপোর্ট করার জন্য যেন আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে সেসব আইডি বন্ধ করে দিতে পারি।
সাধারণত কমিউনিটি গ্রুপগুলো ফেসবুকের সদস্যরা স্থানীয়পর্যায়ে স্বেচ্ছা উদ্যোগে খুলে থাকেন। এসব গ্রুপ স্থানীয় বিষয়, আসন্ন অনুষ্ঠান বা দিবস এবং জিনিসপত্র কেনা বা বিক্রি করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
এদিকে, পেইজ সংক্রান্ত কিছু তথ্য ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে ফেসবুক। আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ফেসবুকের কোন পেইজ কোন তারিখে খোলা হয়েছিল এবং কোন দেশ থেকে তা পরিচালিত হয় সেসব তথ্য দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
ব্যবহারকারীদের আইডিতে দেওয়া নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানায় ফেসবুক। সেই নোটিফিকেশনে বলা হয়, পেইজগুলোকে ব্যবহারকারীদের কাছে আরও স্বচ্ছ করে তুলতে এবং সেগুলো সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের জানাতে পেইজের ‘ইনফো’ এবং ‘অ্যাডস’ সেকশনে থাকা এসব তথ্য দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএইচএস/আরবি/