ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের শীর্ষ চারে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের শীর্ষ চারে বাংলাদেশ নাসা অ্যাপ চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত ৮টি দলের সদস্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জের দু’টি শ্রেণীতে শীর্ষ চারে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ৭৯টি দেশের দুই হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথমবারের মতো এই সাফল্য পেলো বাংলাদেশ।

শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) ছয়টি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দলের নাম ঘোষণা করেছে নাসা। তার মধ্যে দু’টি ক্যাটাগরির সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।


 
পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেও, এই প্রথমবারের মতো মূল ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে থাকার গৌরব অর্জন করলো বাংলাদেশ। এছাড়া ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের সঙ্গে শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’।
 
টিম অলিকের ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’টি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং অ্যারিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে।
 
আর বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়্যার ক্যাটাগরিতে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, তাইপের সঙ্গে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ঢাকা থেকে রানার্স-আপ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া টিম ‘প্ল্যানেট কিট’। ‘প্ল্যানেট কিট’ যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে সেটি মঙ্গলগ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করবে। ‘প্ল্যানেট কিট’ পরিবেশের ডেটা প্রদান, প্রাথমিক স্তরের রসায়নিক পরীক্ষা, জরুরি সতর্কতা এবং বিপত্তি থেকে সহায়তা, মাটির গঠন মূল্যায়ন, পানীয়যোগ্য পানি সংগ্রহ, পথ পরিকল্পনা, থ্রিডি ভার্চুয়ালাইজেশন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করবে। এই ডিভাইসটি নিকট ভবিষ্যতে ঘন ঘন মহাকাশ যাত্রা, স্থান ভ্রমণের খরচ হ্রাস, মূল্যবান গবেষণা তথ্য সংরক্ষণ, এমনকি পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।
 
এ অর্জন সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত তিন আসরের তুলনার ভালো করার। প্রথমবারের মতো প্রধান ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে দু’টি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। আমরা বেসিস থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি, এ অর্জন আমাদের প্রচেষ্টার পথে আরেকটি বড় মাইলফলক।
 
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিটি ক্যাটাগরির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ছয়টি ক্যাটাগরির ছয় বিজয়ী দল দল নাসা পরিদর্শন করার এবং সংস্থাটিতে শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।