জার্মানির রাজধানী বার্লিন নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় দিকগুলো কঠোরভাবে অনুসন্ধান করছে। যদি কোনো ঝুঁকি খুঁজে পায়, তবে দেশটির ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা থেকে হুয়াওয়ের পণ্যগুলোকে বিরত রাখা হবে।
এছাড়া নিরাপত্তা উদ্বিগ্নতায় বিশ্বের অনেকগুলো দেশ ইতোমধ্যেই চীনা এই প্রযুক্তি ফার্মের মোবাইলকে তাদের ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার অনাস্থা প্রকাশ করেছে। কেননা, নেটওয়ার্কগুলো মোবাইল অবকাঠামোর পরবর্তী বড় সক্ষমতা উপস্থাপন করে।
টেলিকম উপকরণ উৎপাদনকারী বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর একটি হুয়াওয়ে বিদেশি কয়েক সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের ধাক্কা সামলাচ্ছে। চীনা এ কোম্পানির প্রযুক্তি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে ঝুঁকির আশঙ্কায় ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনবে না দেশগুলো- এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
যদিও এর আগে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে কোনো সরবরাহকারীকে নিষিদ্ধ করা হলে সেটার বিরোধিতা করা হচ্ছে।
কিন্তু কঠোর নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য কারণে হুয়াওয়েকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট একটি রিপোর্ট বলছে।
এছাড়া এ ধরনের পদক্ষেপ অন্য পশ্চিমা দেশগুলোকেও একই লাইনে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড নিজ নিজ স্থানীয় প্রযুক্তি ফার্মগুলোকে নিষেধ করে দিয়েছে যে- ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় যেনো তারা হুয়াওয়েকে ব্যবহার না করে।
বিষয়টি নিয়ে ভাবছে যুক্তরাজ্যও। তারাও হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহারে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া কানাডাও দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
টিএ