গত ৮ জানুয়ারি হুয়াওয়ের থেকে আর কোনো অনুদান বা পৃষ্ঠপোষকতা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অক্সফোর্ড। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত হুয়াওয়েকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হুয়াওয়ের চুক্তি নিয়ে সম্প্রতিক সময়ের কয়েক মাসে জনগণের মাঝে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আগামীতে হুয়াওয়ের ওপর ব্রিটিশ সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনার বিষয়েও অক্সফোর্ড সচেতন আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব খাতে ইতোমধ্যে অনুদান দিয়েছে অথবা অনুদান দেওয়ার কথা রয়েছে হুয়াওয়ের সেগুলোতে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, হুয়াওয়ের সঙ্গে আমাদের দু’টি প্রকল্প চলমান আছে। এসব যৌথ প্রকল্পে হুয়াওয়ে প্রায় ছয় লাখ ৬৯ হাজার পাউন্ড অনুদান বা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। চলমান অবস্থা সৃষ্টির আগেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ম মেনেই প্রকল্প দু’টি অনুমোদেন দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা এখনও হুয়াওয়ে পায়নি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা।
টেলিকম যন্ত্রাংশ এবং বিশেষ করে ফাইভ-জি যন্ত্রাংশের মাধ্যমে হুয়াওয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ যে, দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক তথ্য চীনে পাচার করেছে হুয়াওয়ে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত অবরোধ উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্যেও দেশটির চক্ষুশূলে পরিণত হয় হুয়াওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ/