বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি কমিউটার ট্রেন’ যোগে হাইটেক পার্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন পলক।
হাইটেক পার্কে ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করা দেশি-বিদেশি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, হাইটেক পার্কের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, দেশের আইসিটি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
হাইটেক পার্ক সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত হাইটেক পার্কে যারা বিনিয়োগ করেছেন এবং আগামীতে আরো যারা বিনিয়োগ করতে পারেন এমন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই এই পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে হাইটেক পার্কেই বিনিয়োগকারীদের সাথে এক একান্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও হাইটেক পার্কে স্থাপিত বিভিন্ন আইটি ইন্ডাস্ট্রি সমূহের উৎপাদন কার্যক্রম সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করবেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
হাইটেক পার্ক পরিদর্শনের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯৮ সালে ১২তম বিনিয়োগ বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী ২৩২ একর জায়গা দিয়েছিলেন কালিয়াকৈরে হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু এরপরে বিএনপি সরকার এসে এসব কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা আবার ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালে এই এলাকার উপর থাকা বিভিন্ন ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করি এবং সে বছরের ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জায়গাটি পরিদর্শন করেন। হাইটেক পার্কের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ট্রেন কানেক্টিভিটি খুব দরকার ছিল। আমরা উপলব্ধি করেছিলাম যে ট্রেন যোগাযোগ ছাড়া এই হাইটেক পার্ক সফলতা পাবে না। সে সময় সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথম আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন এখানে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমরা সেসময় রেলমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমরা গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আধুনিক রেলস্টেশনসহ রেল লাইনের একটি প্ল্যান করেছিলাম, যা অতি সম্প্রতি বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল বিভিন্ন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি আইসিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে সেই ট্রেনে করে আমরা হাইটেক পার্কে যাচ্ছি। ট্রেন ব্যবস্থাটা কেমন হলো, যাত্রা কেমন হতে পারে, কোন সমস্যা হতে পারে কি না এসব বিষয় আমরা এই যাত্রায় দেখব এবং সে অনুযায়ী একটি প্রতিবেদন মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ