ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতায় অ্যাপ ‘স্টেয়িং অ্যালাইভ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৯
আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতায় অ্যাপ ‘স্টেয়িং অ্যালাইভ’

ঢাকা: আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়তে স্মার্টফোনভিত্তিক একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন বাংলাদেশের তিন তরুণ। ‘স্টেয়িং অ্যালাইভ’ নামের এই অ্যাপ আত্মঘাতী চিন্তা থেকে সরিয়ে জীবন সাজাতে ইতিবাচক পরামর্শ দেওয়ার কাজ করবে বলে মনে করছেন ডেভেলপাররা। 

এটি তৈরি করেছেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আবু সাইদ হীমু, আব্দুল কাইয়ুম ও তানজিলা শেখ। তিন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের প্রজেক্টের অংশ হিসেবে অ্যাপটি ডেভেলপ করার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রভাষক আয়েশা সিদ্দিকা।

 

আবু সাইদ হীমু বাংলানিউজকে বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ এখনো বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের (আইএএসপি) এক গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে প্রতিবছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন। তার মানে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে থাকেন। অতীতের পরিসংখ্যানের ঊর্ধ্বগতি অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ লাখ। বাংলাদেশেও দিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে, কেবল ২০১৮ সালেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ শিক্ষার্থী। গবেষণায় দেখা যায়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেন, এদের বড় একটি অংশের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে থাকে মানসিক বিষণ্ণতা। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই আমরা প্রজেক্টের জন্য বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই।  

আরেক শিক্ষার্থী তানজিলা শেখ বলেন, যেসব মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা বা চিন্তা করছেন, তাদের এই চিন্তা থেকে মুক্ত করার এবং বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে ইতিবাচক পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে অ্যাপটিতে। যেমন আত্মহত্যা করার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়। তাছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে কেউ চাইলে জরুরি ভিত্তিতে ন্যাশনাল হেল্পলাইন থেকেও সাহায্য পেতে পারেন।

অ্যাপটিতে পরে আরও বিভিন্ন রকমের ফিচার যুক্ত করা হবে জানিয়ে সিনিয়র প্রভাষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ভবিষ্যতে অ্যাপটিতে লাইভ কাউন্সেলিং ফিচার অ্যাড করা হবে। তখন ব্যাবহারকারী চাইলেই নিবন্ধিত কাউন্সেলর বা সাইকোলজিস্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবে।

অ্যাপটি শিগগির গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে বলেও জানান আয়েশা সিদ্দিকা।

একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে মৃত্যুর ১ দশমিক ৪ শতাংশ ঘটে আত্মহত্যায়। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ আত্মহত্যা। এছাড়া যতজন আত্মহত্যা করেন, তার প্রায় ২৫ গুণ বেশি মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।