বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা তিনটি শিল্পবিপ্লব মিস করেছি।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর, স্পেনের কাতালোনিয়ায় বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলন এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আন্দোলন কোনটিই সফলতা পাচ্ছে না। কারণ সেসব দেশে একজন শেখ মুজিব তৈরি হয়নি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না- এটা জাতির পিতা যথাযথভাবে সে সময়ই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এ জন্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পরেই তথ্য প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপকেন্দ্র স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। যার সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে মন্ত্রী ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো তৈরির উদ্যোগগ্রহণ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এটুআই এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় সরকারি দফতরসমূহের প্রতিনিধি ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, একসেবা-সরকার প্রণীত নীতিমালা ও ধারণাসমূহ একটি টেকসই দেশীয় সফটওয়্যার উন্নয়ন ব্যবস্থা এবং উন্নত ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই জাতীয় স্বার্থে এটুআই, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকার সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ