তিনি আগের সেক্রেটারি জেনারেল টি আই এম নূরুল কবীরের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এমটবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রি. জে (অব.) ফরহাদ তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি জগতে সুপরিচিত ব্যক্তি; যার নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা, সংগঠন এবং বাস্তবায়নে বিশেষ দক্ষতা আছে।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ডিজিএফআই ও বিজিবির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবশেষ ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যালস বিভাগের পরিচালক হিসেবে।
এমটবের প্রেসিডেন্ট মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ‘এমটবের নতুন প্রধান হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরহাদের নাম ঘোষণা করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। তিনি একজন দক্ষ নেতা, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা। ’
‘আমরা খুব আশাবাদী যে জেনারেল ফরহাদের নেতৃত্বে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে এর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বিশেষ করে সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম খাত দেশের একটি প্রধান চালিকা শক্তি তাই সরকারের সঙ্গে এই সম্পর্ক প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন ও চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে। ’
এদিকে চাকরি জীবনে ব্রি. জে (অব.) ফরহাদ বিভিন্ন সামরিক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সম্মানজনক সেনা পারদর্শিতা পদক এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মেডেল (বিজিবির সর্বোচ্চ পদক)। তিনি ২০১২ সালে মোবাইলফোন গ্রাহকদের সিম নিবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সামিরিক কোর্স ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এর পাশাপাশি তিনি স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, মিলিটারি সিকিউরিটি স্টাডিজ ও ডিফেন্স স্টাডিজ নিয়ে তিনটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিগত সংস্থা, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে আসছে এমটব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ