সম্প্রতি সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়ে ক্যান্সারের বিষয়ে সতর্ক করে দেয় জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিষ্ঠান দু’টি এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে একটি আবেদনও করেছে।
আবেদনটির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই আবেদনে ক্যান্সারের ঝুঁকির বিষয়টি সমর্থন দিয়ে প্রায় ২৫০ জন বিজ্ঞানী সই করেছেন। আবেদনটি রেডিও কম্পনের বিকিরণ নির্গত হওয়ার মতো বিভিন্ন ডিভাইস- যা ওয়াইফাই, সেলুলার ডাটা এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়, এসবের বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকতে বলেছে।
বিশেষ করে অ্যাপলের এয়ারপড হেডফোন থেকে বিরত থাকতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে বলেছেন, ক্যান্সারের ঝুঁকির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত এয়ারপড। কারণ এগুলো কানের ছিদ্রে তুলনামূলক অনেকটা গভীরভাবে গিয়ে বসে। বিকিরণ বের হওয়ার তেমন সুযোগ থাকে না। এতে করে পরিধানকারীর কানের ভেতরের নরম অংশটা রেডিও কম্পনের এ বিকিরণে বিপজ্জনক হয়ে যায়।
নির্দিষ্ট এ ডিভাইসের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখেছে বৈজ্ঞানিক একটি জুরি বোর্ড। প্রাণীর মধ্যে গবেষণা করে বোর্ডটি বের করে এনেছে, এ ডিভাইসের বিকিরণে ক্যান্সারের লিঙ্ক আছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনিক হিসেবে পাওয়া বিকিরণের মাত্রা তুলনামূলক কম। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছর ২৮ মিলিয়ন জোড়া ক্ষুদ্র সাদা ওয়্যারলেস এয়ারপড বিক্রি করেছিল অ্যাপল। এর আগের বছর প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করেছিল ১৬ মিলিয়ন জোড়া। ডিভাইসটি দ্রুত এতো বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ বিক্রি হয়। নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এ ডিভাইস। আরও লাভের জন্য আইফোনের সঙ্গে বা এককভাবে বিপুল পরিমাণ এমন ডিভাইস মার্কেটে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। আর এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে, এ ডিভাইস নিয়ে গত বছর গবেষণা করেছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। তারাও ডিভাইসটির কারণে ক্যান্সার হতে পারে বলে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
এয়ারপড হেডফোন অ্যাপেলের উন্নত সংস্করণ। প্রতিটি আইফোন প্যাকেজের সঙ্গে এটি দেওয়া হয়। কোনো রকম তার নেই এগুলোতে। ব্লুটুথের সাহায্যে পরিধানকারীকে বিনোদন দেয় ডিভাইসটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
টিএ