ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক দেশ এক রেট: মোস্তাফা জব্বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এক দেশ এক রেট: মোস্তাফা জব্বার টিআরএনবি’র গোলটেবিল আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে ‘একদেশ এক রেট’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য ইন্টারনেটের পৃথক রেট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে সমন্বয়ের মাধ্যমে যেকোন সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এজন্য কোনো জায়গায় ভর্তুকি দিতে হলে দেবো। ছেলেমেয়েরা ভর্তুকি পেয়ে যদি এগিয়ে যায় তাহলে সে জায়গায় অবশ্যই আমরা যাবো।

মন্ত্রী বলেন, সমস্যাগুলো আছে সেগুলো সমাধান করবো, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবো না, তাদের সাথে কথাবার্তা বলেই গাইডলাইন চূড়ান্ত করছি।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজনে ‘ডিজিটাল সেবায় ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজসরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রাম শহর হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গ্রাম শহর হওয়ার মানে হচ্ছে ডিজিটাল গ্রাম হবে, শহরের সুযোগ সুবিধা গ্রামে হবে। যে ইন্টারনেট স্পিড শহরে হবে তা গ্রামেরও করতে হবে। শহরের বাইরে কেন বাড়তি পয়সা দিতে হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য না। ট্রান্সমিশন কোম্পানি এনটিটিএন এর জন্য খরচ বাড়ছে, এই খরচ যেন গ্রাহকের ওপর না পড়ে, সেটা সরকার দেবে না কি হবে তা ঠিক করতে হবে।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমানে এক হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি। ২০০৮ সালে দেশে ৮ জিবিপিএস ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হতো।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবায় শুধু অপারেটরদের নয়, এনটিটিএনদেরও ধরতে হবে। যেটুকু অপারেটর ও এনটিটিএনদের ক্ষমতায় আছে তা জনগণকে সর্বাচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে, কোনো রকমের অজুহাত দেওয়া যাবে না।

২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে কোনভাবেই ফাইভ-জি’তে যাওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান, অ্যামটবের সাবেক সেক্রেটারি টিআইএম নুরুল কবির, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম, ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য করেন।

টিআরএনবি সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাধারণ সমীর কুমার দে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।