ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিআরসির নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
বিটিআরসির নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর বিটিআরসির নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নবনির্মিতব্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার (১৩ মার্চ) শেরে বাংলা নগরে (প্লট নং- ই-৫/এ) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এক একর জমির উপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভবনের নির্মাণ কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছে বিটিআরসি।

দু’টি পূর্ণ ও একটি সেমি বেইজমেন্টসহ ১২তলা ভবনে মোট ফ্লোর স্পেস ৩৯ হাজার ৫২০.৬২ বর্গমিটার (৪,৬৬,২৬০ বর্গফুট)।

ভবনে সকল প্রকার টেলিযোগাযোগ কার্যক্রম আরো সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা; মনোরম, সহায়ক, উদ্যোমী, উন্নত ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত কর্ম পরিবেশ নিজস্ব অফিস প্রাঙ্গনে নিশ্চিত করা; কোন ধরনের সমস্যা ব্যতীত প্রযুক্তির অগ্রগতি ও ক্রমাগত পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই উদ্দেশ্য।

টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১৮নং আইন) পাশ হয়। আইনের ভিত্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন ৩১ ২০০২ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যার কার্যক্রম ৪১ জনবল নিয়ে শুরু হয়।

টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যাপকতা, কার্যপরিধি বৃদ্ধি, উত্তোরত্তোর লাইসেন্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০০৮ সালে সরকার কমিশনের জনবল ৩৬৯ অনুমোদন করেছে। কিন্তু এতেও কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে জনবল বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৫৫ হয়েছে। ২০০৮ সালে ৪১ জন জনবল নিয়ে কমিশন আইইবি ভবনের তিনটি ফ্লোর ভাড়া নেয়। কিন্তু বর্তমানে ৪৫৫ জন জনবল নিয়ে উক্ত স্থানে কমিশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তদুপরি অফিস ভবন ভাড়া হিসেবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। এজন্য নিজস্ব ভবন করা হচ্ছে।

ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল হতে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ভবন নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২০ হাজার ২৬৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যারা পুরোটাই নিজস্বভাবে ব্যয় করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে টিসিইএল-এনডিই জেভি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।