মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করা হয়।
বিশ্বের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলোর অভিভাবক সংস্থা আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক এ দিবসের প্রচলন করে।
দিবসটির একইসঙ্গে বিডি ফ্যাক্টচেকের জন্মদিনও। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিডি ফ্যাক্টচেক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচিগুলো- গণমাধ্যম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রবন্ধ প্রকাশ, আলোচনা, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং সংস্থাটির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন।
২০১৭ সালের ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম ফ্যাক্ট অনুসন্ধানকারী সংস্থা বিডি ফ্যাক্টচেক। এটি একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও পেশাদার প্রতিষ্ঠান যার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যা, সন্দেহ, প্রতারণা, ও ভুলের মাত্রা কমিয়ে আনা। সংস্থাটি শুধু সেসব বিষয়ের ফ্যাক্ট চেক করে যে বক্তব্যগুলো কোনো আলোচনা সভা, প্রেস কন্ফারেন্স, জনসভা কিংবা গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে পৌঁছায়। সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভুয়া সংবাদ, ছবি কিংবা ভিডিও ভাইরাল হয় সেগুলোরও ফ্যাক্ট চেক করে থাকে বিডি ফ্যাক্টচেক।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় তিনশ’র অধিক গুজব ও ভুয়া সংবাদ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে মিডিয়া লিটারেসি বাড়াতেও কাজ করছে বিডি ফ্যাক্টচেক। ভুয়া সংবাদ চিহ্নিতকরণ ও এর বিস্তার রোধে কাজ করে যাচ্ছে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু প্রযুক্তি দিয়ে ভুয়া সংবাদ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মানুষ ও প্রযুক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভুয়া সংবাদের প্রকোপ কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেও ফ্যাক্ট চেকাররা সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা এপ্রিল ০২, ২০১৯
এসএইচএস/এএটি