বুধবার (০৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ১০ শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করে হুয়াওয়ে।
তারা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিয়া জাহিন ও সরকার স্নিগ্ধ সারথি দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়িশা ফারজানা ও কৌশিক কুমার, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিয়া সেউতি ও মিনহাস বিন ফারুকী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিয়া ইসলাম আঁখি ও জাহেদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিশা দেব ও কামরুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি এপ্রিল মাসেই হুয়াওয়ে প্রধান কার্যালয়ে যাবেন এই শিক্ষার্থীরা। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করে প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে হাতেনাতে প্রশিক্ষণ পাবেন তারা।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও প্লেনের টিকিট তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চীনের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে একটু ভিন্নরকম ধারণা ছিল। অনেকটা নেতিবাচক। কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে ১৪ মাসের অভিজ্ঞতায় আমার ধারণা পাল্টেছে। চীন এখন প্রযুক্তিতে যথেষ্ট উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের চারদিকে চীনের প্রযুক্তিগত সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষা।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীতে প্রচলিত অর্থনীতির ধারা, যেটাকে আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতি বলি, সেটাকে অনুসরণ না করে ভিন্ন ধারায় এগিয়ে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করেছে তারা। ধন সম্পদ অর্জন করাই শ্রেষ্ঠতা নয়। বরং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন প্রকৃত সফলতা এনে দেয়। চীনের এই সফলতার অন্যতম কৃতিত্ব তাদের জনগণের। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে সামনের দিকে যদি যেতে হয় তাহলে নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। আমরা ‘ই’ যুগ (ইলেকট্রনিক) পার করে ‘D’ যুগে (ডিজিটাল) প্রবেশ করেছি।
২০০৮ সাল থেকে সিডস কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে। আর বাংলাদেশে এবার পঞ্চম আয়োজন। এবারের আয়োজনে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১২০ জন করে মোট ৬০০ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেন। বিভিন্ন ধাপে বাছাইয়ের মাধ্যমে এই ১০ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস