ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘অ্যাডভান্সিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শুরু করলো হুয়াওয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
‘অ্যাডভান্সিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শুরু করলো হুয়াওয়ে পাঁচ দিনব্যাপী ‘অ্যাডভান্সিং ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৯’ শুরু

ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম টেলিকম প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের আয়োজনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘অ্যাডভান্সিং ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৯’।

রোববার (০৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ের কাস্টমার সল্যুশন ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্ট্রিগেশন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে (সিএসআইসি) এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়।

‘অ্যাডভান্সিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান চলবে ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে একটি বিশেষ সেশনে জানানো হয়, ৫জি ডিজিটাল বাধাগুলো দূর করে একটি জাতি এবং ছোট, বড় ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাপক সুযোগ বয়ে আনবে এবং নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে সবাইকে ক্ষমতায়ন করবে। এই বিপ্লবের একটি প্রধান দিক হলো শিল্পখাতকে স্মার্ট ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করা।  

পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রদর্শন ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রির স্টেক হোল্ডারদের এসব বিষয়ে ধারণা দিতে পাঁচ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে, যাতে পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব শুরু হলে বাংলাদেশ ও ইন্ডাস্ট্রি আসন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

এই অনুষ্ঠানে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কিং ইক্যুপমেন্ট, ইন্টিগ্রেশন এবং ভ্যালু ক্রিয়েশনসহ ডিজিটাল ইনক্লুশনের বিভিন্ন ফিচার প্রদর্শন করা হবে। এই প্রোগ্রামের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ফাইভজি ইজ অন’।  

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ও বিশ্বে ৫জির গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা এবং সুযোগের বিষয়টি তুলে ধরবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে-২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কীভাবে ৫জি চালু করা যেতে পারে এবং বাংলাদেশ কীভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে পারে সেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।  

হুয়াওয়ে টেকনোলজি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জেরি ওয়াং বলেন, বিশ্ব ও বাংলাদেশের জন্য ৫জি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি মানুষ, গৃহস্থলি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল সেবা দিতেই আমরা কাজ করছি। ফলে আইসিটি সল্যুশনস ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় হওয়ায় পরবর্তী প্রযুক্তির বিষয়ে চিন্তা করা আমাদের দায়িত্ববোধের মধ্যে পরে। যাতে সমৃদ্ধ আগামীর জন্য আমাদের গ্রাহক, অংশীদার এমনকি এ খাতের সবার একটা ধারণা থাকে এবং নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে।  

তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক ডিজিটাল রূপান্তরের আর্থ-সামাজিক সুবিধার সম্ভাব্যতা, জীবনের সবক্ষেত্রে কীভাবে ৫জি ভ্যালু চেইনকে প্রভাবিত করবে, অপারেটরদের আকাঙ্ক্ষা, ৫জি সক্ষমতা ও ব্যবহারের চিত্রসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবো। এরইমধ্যে গত বছর আমরা বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি প্রদর্শন করেছি। এখন আমরা দেখাতে চাই, আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পখাতের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অতিথিরা নির্দিষ্ট সময়ে এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত থাকবেন এবং হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তায় তারা হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।