ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত পুরস্কার দেওয়া হয়

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক ‘ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০১৯’ (দ্য সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি) এ একটি উইনার এবং ৮টি চ্যাম্পিয়নশিপ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। এ খাতে বিশেষ অবদান রাখায় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ।
 

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত পুরস্কার দেওয়া হয়। ডব্লিউএসআইএস এর কো-চেয়ারম্যান এবং আইটিইউ-এর মহাসচিব হাউলিন ঝাউয়ের কাছ থেকে উইনার পুরস্কার গ্রহণ করেন এবারের ডব্লিউএসআইএস ফোরামের চেয়ারম্যান বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ ডব্লিউএসআইএস-এ যোগ দেওয়া বাংলাদেশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার এবং ই-গভর্ন্যান্স ইন্টার অপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রকল্প এই উইনার পুরস্কার পায়। ডব্লিউএসআইস অ্যাকশন লাইন ক্যাটাগরি-৬ এর এনাব্লিং এনভায়রনমেন্ট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়।
 
বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশিদারদের প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে দ্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি বা ডব্লিউএসআইএস। এবার ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারের জন্য সারা বিশ্ব থেকে এক হাজার ১৪০টি আবেদন জমা পড়ে। বাছাইয়ে টিকে থাকে এক হাজার ৬২টি আবেদন। এরপর দ্বিতীয় বাছাই-মূল্যায়নে থাকে ৪৯২টি প্রকল্প। এরপর সারা বিশ্বের ভোটাভুটির জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয় প্রকল্পগুলো।
 
সেখানে ২০ লাখ ভোটে তালিকায় আসে ৯০টি প্রকল্প। এরমধ্যে ৭২টি প্রকল্প চ্যাম্পিয়ন হয়। যেখানে বাংলাদেশ পায় ৮টি। আর ১৮টি প্রকল্প হয় উইনার, এরমধ্যে বাংলাদেশ পায় একটি। চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাটাগরি ২- ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে রয়েছে সরকারের  ডেভেলপমেন্ট অব আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট বা ইনফো সরকার প্রকল্প, ক্যাটাগরি ৯- ই-লার্নিংয়ে রয়েছে সরকারের শিক্ষক বাতায়ন প্রকল্প, ক্যাটাগরি ১২- ই-এনভায়রনমেন্টে রয়েছে ই-ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড রিসাইলেন্স থ্রো কমিউনিটি রেডিও অ্যাট কোস্টাল এরিয়া অব দ্য বে অব বেঙ্গল বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রকল্প।
 
এছাড়াও ক্যাটাগরি ১৩ তে ই-অ্যাগ্রিকালচারে রয়েছে এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের উদ্যোগ ডিও ডেটা টু কন্ট্রোল লেট ব্লাইট ফাংজাই ডিজিসইন পটেটো ইন বাংলাদেশ। কাটাগরি ১৫-এ রয়েছে  ব্রিজ ফাউন্ডেশনের ‘আইটি ফর দ্য ডিফারেন্টলি অ্যাবল প্রজেক্ট’। ক্যাটাগরি-১৬ মিডিয়া বিভাগে পেয়েছে ‘অ্যাওয়ারনেস অন ই রাইট টু ইনফরমেশন (ই-আরটিআই) থ্রো কমিউনিটি রেডিও’। ক্যাটাগরি-১৭ তে পেয়েছে এটুআই এর মোবাইল বেইজড এজ ভেরিফিকেশন বিফোর ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন টু স্টপ চাইল্ড ম্যারিজ।  
 
আর উইনার পুরস্কার পাওয়া ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার এবং ই- গভর্ন্যান্স ইন্টার অপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রকল্পও চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারের তালিকায়ও রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।