কোনো চাপ পেয়ে নয়, হঠাৎ করে উসকানিমূলক বা বর্বর কোনো কিছু যাতে প্রচার না করা যায়; প্রচারের কারণে কোনো রকম অশান্তি যেনো সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই বড় ধরনের প্রযুক্তি জায়ান্টটি এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিভিত্তিক গণমাধ্যম টেকরাডার।
গণমাধ্যমটি বলছে, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং পরিচালনা করার ব্যাপারটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবছে ফেসবুক।
বলা হচ্ছে, ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং বিধিনিষেধের আওতায় আনতে প্রস্তাবকারীদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ফেসবুকের ওপর অস্ট্রেলিয়া সরকারের চাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নি হেরাল্ড খবরে উল্লেখ করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ইতোমধ্যেই তার প্ল্যাটফর্মের উসকানিমূলক লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের নতুন বিধিনিষেধ কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠকে বসবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রযুক্তি জায়ান্টটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে লাইভ স্ট্রিমিং বিধিনিষেধ।
তবে ইতোমধ্যে কয়েকটি সূত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানিয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী যদি ঘৃণা প্রচার বা উসকানি দেওয়ার জন্য লাইভে আসেন, আর সেটা যদি ফেসবুক সেন্সরে ধরা পড়ে যায়, তাহলে ওই ব্যবহারকারীর ফেসবুক আইডিতে লাইভ প্রচার একদম ব্লক করে দেওয়া হবে। কোনো অপশনই থাকবে না তার লাইভ দেওয়ার।
এদিকে, প্রচার নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে গুগলসহ সামাজিক গণমাধ্যমগুলোকে জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, উসকে দিতে পারে এমন কোনো কিছু সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে গেলেও, তা ছড়িয়ে পরার আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে জরিমানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
টিএ