এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা সম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসেবে ঘোষণার পর নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ তা গ্রাহকের ঘাড়েই আসবে। এতে গ্রাহকদের ভয়েস কল এবং ডাটা বা ইন্টারনেট খরচ বেড়ে যেতে পারে।
গত ১৭ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সভায় গ্রামীণফোনের ওপর এসএমপির নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেগুলোর মধ্যে ডাটা ও ভয়েস কলের খরচও যুক্ত আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিটিআরসি নির্দেশনা দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার একজন কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা পায়নি বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এসএমপির বিষয়ে বিটিআরসি থেকে আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। গ্রামীণফোন আইনসম্মত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক বাজার ব্যবস্থাপনা সমথর্ন দেয়; যেখানে আধিপত্যের প্রমাণ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, সৃস্টিশীলতা ও বিনিয়োগকে কোনো বিধি-নিষেধ দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা উচিৎ না বলে মনে করে।
বর্তমানে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কলরেট হলেও অপারেটর ভেদে কলরেট ভিন্নতা রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিটিআরসি তাৎপর্যপূর্ণ বাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোনকে চার দফা নির্দেশনা দেয়। করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ের মধ্যে ছিল- এমএনপি লক ইন প্রিয়ড ৩০ দিন প্রযোজ্য হবে।
অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র ও একক স্বত্বাধিকার চুক্তি সম্পাদন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাসিক কল ড্রপের সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশ। দেশব্যাপী কোনো প্রকার মার্কেট কমিউনিকেশন কোনো মাধ্যমে করা যাবে না।
এসএমপি ঘোষণার পর অপারেটরটি বলছিল, সাফল্যের বাধা হিসেবে নয়, এসএমপির নির্দেশনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বাজার প্রতিযোগিতা তৈরি করা। বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের জন্য গ্রামীণফোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিল। আলোচনার পর গত ১৯ মার্চ বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দেয় বিটিআরসি।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করে বিটিআরসি। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এসএমপি প্রবিধানমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। এর মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ