ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বদরবারেও প্রশংসিত হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
আইসিটিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বদরবারেও প্রশংসিত হচ্ছে

ঢাকা: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ১০ বছরে উন্নয়নের ফলাফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১০ বছর আগে যখন আমি গ্রামে গিয়েছি, দেখেছি যে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করেছে। (শরীরে) পোশাক প্রায়ই নেই, খালি পায়ে থাকতো। এখন যখন আমি গ্রামে যাই মানবেতর অবস্থায় থাকা কোনো মানুষ দেখি না।  আমি বাংলাদেশে শেষ কবে কাউকে খালি পায়ে হাঁটতে দেখেছি, মনে পড়ে না।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে চতুর্থ বিপিও সম্মেলন-২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বক্তৃতায় জয় এ কথা বলেন। এ বিজনেস প্রসেস আউটসোর্স বা বিপিও সম্মেলন চলবে সোমবার (২২ এপিল) পর্যন্ত।

‘ট্রান্সফর্মিং সার্ভিসেস ট্যু ডিজিটাল’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে ১২টি সেশনে থাকছে আটটি সেমিনার। এছাড়াও তিনটি গোলটেবিল আলোচনা হবে।

জয় বলেন, যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলো (২০০৯) তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিলো প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলারের মতো। এখন সেই আয় প্রায় দুই হাজার মার্কিন ডলার, এটা আরও দ্রুত বাড়ছে। এই অগ্রগতি আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। ১০ বছর আগে আমি যখন গ্রামে গিয়েছি দেখেছি, মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করেছে, (শরীরে) পোশাক প্রায়ই নেই, খালি পায়ে থাকতো। এখন আমি যখন গ্রামে যাই, মানবেতর অবস্থায় থাকা কোনো মানুষ দেখি না। আমি বাংলাদেশে শেষ কবে কাউকে খালি পায়ে হাটতে দেখেছি মনে পড়ে না। আর অবশ্যই, সবার এখন মোবাইল ফোন আছে।
 
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা যেসব উন্নয়ন করছি তা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। ইউরোপের একটি দেশের প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে প্রতিটি গ্রামে দ্রুততম সময়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন খুবই প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা প্রায় ৪৫০০ ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করেছি। আর প্রায় ২৫০০ পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তরিত করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি এবং এখনো কাজ করছি যেন আইটি সেবাকে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় নেওয়া যায়, যেন একজন মানুষও (এই সেবা ও সুবিধা থেকে) বঞ্চিত না হোন। এসব প্রশংসা যখন শুনি তখন খুবই গর্বিত বোধ করি, কারণ এই দুইটি বিষয়ই ছিল আমার ব্যক্তিগত পদক্ষেপ থেকে নেওয়া।
 
বিপিও খাতকে রাজধানীর বাইরেও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনার কথা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, বিপিও খাতকে আমরা ঢাকার বাইরেও সম্প্রসারিত করতে চাই। সব উন্নয়ন ঢাকাকেন্দ্রিক হয়। আর অন্যরা অবহেলিত থেকে যায়। সেজন্য আমরা সবাইকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসতে চাই। এ লক্ষ্যে ঢাকার বাইরে ২০টি জেলায় আমরা হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছি।
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিভাগ, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
 
সম্মেলনের সেমিনার ও বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৯০ জন বক্তা ছাড়াও ১৩২ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

** শুরু হলো বিপিও সামিট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।