এ বছরে জানুয়ারি-মার্চে ১৩ লাখ গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে, যা ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১১ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক অধিগ্রহণ করেছে।
২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রান্তিকে আমরা বেশ ভালো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছি। বাজার ব্যবস্থায় আমাদের শক্তিশালী অবস্থান বিদ্যমান ও নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফোরজি গ্রাহক নিতে পেরেছি। প্রথম প্রান্তিকে ভয়েস ও ইন্টারনেট থেকে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
তিনি আরও বলেন, শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের নিরলস চেষ্টা সব সময়ই অব্যাহত থাকবে।
প্রথম প্রান্তিকে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিন নিয়ে মোট লাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬১ টাকা।
গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন অর্জন করেছে। গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে নেটওয়ার্কে সম্প্রসারণে আমরা আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। ভবিষ্যতে গ্রামীণফোনের লাভজনক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আধুনিয়কায়নের পাশাপাশি এ সময়ে গ্রামীণফোন দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯২৬টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করছে। বর্তমানে গ্রামীণফোনে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৯টি।
গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে কর, ভ্যাট, ফি, ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রামে ফি বাবদ ২ হাজার ৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা একই সময়ে অর্জিত রাজস্বের ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপিল) এ গ্রামীণফোনের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ সালের জন্য ২৮০ শতাংশ (১২৫ শতাংশ অর্ন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশসহ) লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ