সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন: গণমাধ্যমের সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আজকে যদি মোবাইল টেকনোলজির কথা বলি, তাহলে চতুর্থ প্রজন্মের (৪জি) পর পঞ্চম প্রজন্মের (৫জি) টেকনোলজি আসলে ২০২৫ সালে প্রযুক্তির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমি তা বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, ফেসবুকে মানুষ সরাসরি নিজেকে সংযুক্ত করতে পারে বলেই এটি এত জনপ্রিয়। কিন্তু যখন ফেসবুক নতুন নতুন এসেছিল, আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম এটা চলবে না, কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের ছেলেরা একদিন এমন কিছু তৈরি করবে, যা নিয়ে সারাবিশ্ব আলোচনা করবে। আজকে আমরা যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটার নিয়ে আলোচনা করছি, একদিন বিশ্ব আমাদের উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, চায়নায় যদি উইচ্যাট জনপ্রিয় হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আমাদের বাংলা ভাষায় কোনো কিছু তৈরি করতে পারবো না। আমাদের ছেলেরাও অবশ্যই পারবে একদিন বাংলা ভাষায় কোনো যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করতে। তাহলে আমাদের কেউ ফেসবুকের দিকে ফিরেও তাকাবে না।
আলোচনা সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন বেসিসের সভাপতি আলমাছ কবির। সভাটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নুরুল কবির।
আলোচনা সভায় অংশ নেন- ৭১ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, আজকের ডিল ও বিডি জবস এর পরিচালক ফাহিম মাশরুর, ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মনির হাসান, বাংলালিংকের চিফ ফাইন্যান্স অপারেটর তাইমুর রহমান, বেসিরের সাবেক সভাপতি রাসেল হোসেন ও ডেফোডিল গ্রুপের সিও নুরুজ্জামান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে টিএমজিবির ৮৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
আরকেআর/এসএ