তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিজিটালাইজডের কাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাজ শেষ হবে।
সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এসময় অ্যাটকোর সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির অঞ্জন চৌধুরী, অ্যাটকোর সদস্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ৭১ টিভির এসএম বাবু, দেশ টিভির আরিফুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ চারটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক. দেশীয় টেলিভিশনগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যেসব টেলিভিশন আগে সম্প্রচার হয়েছে, তাদের আগে রেখে একটি সিরিয়াল ভিত্তিক তালিকা করা। দুই. ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেম কর ডিজিটালাইজড করা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে দেশীয় চ্যানেলগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলোকে প্রাধান্য বেশি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, বেসরকারি টেলিভিশনের একটি সিরিয়াল ভিত্তিক তালিকা করে জমা দিতে। এজন্য মঙ্গলবারের (৭ মে) মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করে অ্যাটকোকে বাণিজ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ক্যাবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটাল না হওয়ায় সরকার প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে। এজন্য আগামী বছরের জুনের মধ্যে সারাদেশের ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেম ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে ডিজিটাল করতে যে খরচ হবে, তা ক্যাবল অপারেটরদের বহন করতে হবে। তবে আমদানি পর্যায়ে কিছু শুল্ক সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা তাদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাবো।
অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা হলে সরকার, বেসরকারি টেলিভিশন মালিক ও ক্যাবল অপারেটর এ তিন পক্ষই লাভবান হবেন। সরকার বর্তমানে জানে না তার কতোজন গ্রাহক আছে। ডিজিটাল হলে সরকার গ্রাহক সম্পর্কে জানতে পারবে এবং রাজস্ব বাড়বে। আর টিভি চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে একটি তালিকা পাঠানো হবে। সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী এ তালিকা করা হবে। এজন্য একটি নীতিমালাও রয়েছে। নীতিমালা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর ব্যবসা মন্দার কারণে রিপোর্টারদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। তবে এ ছাঁটাই যেন আইন অনুযায়ী হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রিপোর্টারদের যেন তাদের ন্যায্য পাওনা দিয়ে দেওয়া হয়। আইনগতভাবে তাদের বিদায় করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/