সোমবার (৬ মে) রাজধানীর কারওরান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘দ্যা ফিউচার অব ক্লাউড কম্পিউটিং’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের আইসিটি বিটের প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।
আইসিটি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) উদ্যোগে এবং প্লেক্সাস ক্লাউডের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। কর্মশালা পরিচালনা করেন ক্লাউড কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞ এবং ওপেন স্ট্যাক বাংলাদেশের গ্রুপ অরগানাইজার মোবারক হোসেন।
কর্মশালায় অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, আইসিটি খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। সঠিকভাবে এবং সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। আইটিইউতে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও সেভাবে ভালো না।
কর্মশালায় মোবারক হোসেন বলেন, সমগ্র বিশ্বের আইসিটি সেক্টর ক্রমান্বয়ে ক্লাউডের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও ব্যাপক হারে বাড়তে পাবে। এতে করে ডেক্সটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ক্ষুদ্র আকারের ডাটা সেন্টারের ব্যবহার কমে আসবে। ফলে গ্রাহকের হার্ডওয়্যারের খরচ কমে যাবে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে পাবলিক ও প্রাইভেট ক্লাউড অথবা হাইব্রিড ক্লাউড তৈরির মাধ্যমে আইসিটি এক ক্লাব থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তিনি বলেন, গ্রাহকরা একটি টার্মিনালের মাধ্যমে এমনকি বাসা বাড়ির স্মার্ট টিভির মাধ্যমেও ক্লাউড ইনস্টল করে, অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ডাটা নিরাপদ রাখতে চাইলে প্রাইভেট ক্লাউড তৈরি করে তাদের ডাটা রাখতে পারে। একই সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড এর মাধ্যমে তাদের সার্ভার দেশেই তৈরি করতে পারে। এর ফলে সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ অথবা অন্য কোনো কারণে বিশ্বের সঙ্গে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যাহত হলেও দেশীয় গ্রাহকরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সেবা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
কর্মশালায় বিআইজেএফ-এর সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম ঢেউ, সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকিরসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথি কায়কোবাদ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/