ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইনোভেশনের জন্য গবেষণা ও মেধাসত্ত্বের বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
ইনোভেশনের জন্য গবেষণা ও মেধাসত্ত্বের বিকল্প নেই বিভিন্ন উদ্ভাবন প্রযুক্তি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যরা

ঢাকা: ইনোভেশন বা উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা ও মেধাসত্ত্বের বিকল্প নেই। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। আর মেধাসত্ত্বের মাধ্যমে সেই উদ্ভাবনকে নিরাপদ রাখতে হবে।

রোববার (১২ মে) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে এটুআই আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি নীতি নির্ধারকরা। এটুআই পরিচালিত ইনোভেশন ল্যাব (আই-ল্যাব) এর বিভিন্ন উদ্ভাবন আইটেক্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান বক্তা হিসেবে এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর মডারেশনে এবং এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্যানেল ডিসকাশনে আরও অংশ নেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির উপআবাসিক প্রতিনিধি কিওকো ইউকোসুকা।  

প্যানেল আলোচনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের ছেলেদেরকে আত্মশক্তি দিতে হবে। ইনোভেশন থেকে পাইলটিংয়ের দিকে যেতে হবে। শুধু গবেষণা করে ফেলে রাখলে হবে না। সেটিকে প্রয়োগ করতে হবে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে আমাদের মেধাবীদের এবং মেধা সম্পদগুলোকে কাজে লাগানো যাবে।  

উদ্ভাবনের নিরাপত্তায় মেধাসত্ত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইনোভেশন যতই করা হোক না কেন, তাকে মেধাসত্ত্বের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আর মেধাসত্ত্ব শুধু জাতীয় পর্যায়েই না বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের উদ্ভাবনগুলো আন্তর্জাতিক পেটেন্টের মাধ্যমে নিরাপদ রাখতে হবে।  

মতবিনিময় সভায় অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের তাগিদ দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ আমলের। এখনো সেটির পরিবর্তন আমরা করতে পারিনি। আগামী পাঁচ বছরে এখনকার কর্মসংস্থানের ৮০ ভাগই হারিয়ে যাবে। তার মানে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো জানে না যে পাঁচ বছর পরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আজ নতুন কি বিষয় পড়ানো উচিৎ; তার সিলেবাস কী হবে। এর জন্য পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা দরকার।  

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মেধাবী উদ্ভাবকদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছে এটুআই এবং এটুআই এর ইনোভেশন ল্যাব। এখানে ফান্ডিং, নার্সিং, কোচিং সবই দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ইনোভেশনকে টেকসই করতে হলে একাডেমির সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির দূরত্ব কমাতে হবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। আগামী ২০ বছরে বাংলাদেশ ইনোভেটিভ জাতিতে পরিণত হবে।  

এর আগে আইটেক্স ২০১৮ ও ২০১৯-এ এটুআই এর পুরস্কার পাওয়া উদ্ভাবনীগুলো সবার উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়।  

আইটেক্সের ২০১৮ আসর থেকে অংশগ্রহণ করে আসছে এটুআই এর আই-ল্যাব। সেবছর প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই দু’টি উদ্ভাবক স্বর্ণ পদক এবং একটি উদ্ভাবন রৌপ্যপদক পায়। চলতি বছরের ২ মে থেকে ৪ মে অনুষ্ঠিত আসরে গ্রামীণ উদ্যোগ ‘একশপ’ স্বর্ণপদক এবং আরও  চারটি উদ্ভাবনে রৌপ্যপদক অর্জন করে। এবারের আসরে ২১টি দেশের এক হাজার ৩২৭টি উদ্ভাবনের মধ্যে একশপ সেরা আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন ট্রফিও অর্জন করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।