মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেট দেশের মানুষের জন্য এক অত্যাবশ্যকীয় অধিকারের জায়গায় পোঁছেছে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে অধিকতর সক্ষম করে গড়ে তুলতে বিএসসিসিএলকে প্রস্ততি গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্ত্রীকে প্রতিষ্ঠানটির বিস্তারিত কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ দেশে ব্যান্ডউইথের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে চলমান বিভিন্ন কর্মসূচি এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চলমান কর্মসূচি আরো বেগবান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামীতে ব্যান্ডউইথের বিপুল চাহিদা অনিবার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ইন্ডাস্ট্রি হবে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), বিগডাটা, ব্লকচেইন বা রোবটিক ভিত্তিক। সেই ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যান্ডউইডথের প্রয়োজন হবে। এই বিষয়ে এখন থেকেই তৈরি হতে হবে।
গত দশ বছরে প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে দেশে ৭ দশমিক ৫ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো। বর্তমানে দেশে ১১শ’ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। তখন প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ছিলো ২৭ হাজার টাকা, বর্তমানে তা ২৫০ টাকায় তা পাওয়া যাচ্ছে।
স্বল্পমূল্যে সর্বোচ্চমানের দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবার সকল সুবিধা তৃণমূল জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের বাংলাদেশ হবে অচিন্তনীয় অগ্রগতির এক বাংলাদেশ।
বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-সিমিইউই-৪ এবং সিমিইউই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমে বিএসসিসিএল এর অংশিদারিত্ব রয়েছে। বিএসসিসিএল দেশের বর্তমান চাহিদা মিটিয়েও ভারতের ত্রিপুরায় ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ