ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তরে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তরে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ছে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আজকের সময়ে বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানের অসাধারণ সুযোগ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল হবে এবং সেদিনটি খুবই কাছে। আগামী দু‘এক বছর পর ডিজিটাল কমার্সের আওতায় কোনটা নেই, সেটা খুঁজতে হবে।

আর বাণিজ্যের ডিজিটাল এই রূপান্তর তরুণ প্রজন্মের আত্মকর্মসংস্থানের অসাধারণ সুযোগ তৈরি করছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর জিপিও’তে ‘ঢাকা ই-কমার্স’ মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।

ডাক অধিদফতর এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ই-কমার্স মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ই-কমার্সে সংযুক্ত হয়ে এই খাতে  সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। এই খাতের চ্যালেঞ্জের জায়গাগুলো যা ছিল, তার প্রায় সবগুলোই অতিক্রান্ত হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জটি ছিল পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে নিরাপদে পৌঁছানো। ডাক অধিদফতরের ৪৩ হাজার কর্মী এবং গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ডাক অধিদফতরের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেটাও সফলভাবে অতিক্রম করা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। সে দিনের পর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্লের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১০ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।

মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি ই-ক্যাব কর্মকর্তাদের স্মরণ করে দিয়ে বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি না থাকলে, ব্যবসা শো-রুম বা এনালগ পদ্ধতি কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা হোক না কেনো, সফলতা আসবে না। ক্রেতা বা ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে পারলে মানুষ ডিজিটাল ব্যবসার প্রতি প্রচলিত ব্যবসার চেয়ে অনেক বেশি আস্থা রাখতে পারে। এ ব্যাপারে আইনগত কাঠামো তৈরিতে সহযোগিতাসহ ডিজিটাল কমার্স বিকাশে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল এবং দারাজ সিইও সৈয়দ মিস্তাহিদুল  হক বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।

মেলায় ৮০টি স্টলে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন। শনিবার (১৮ মে) শেষ হবে এই মেলা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।