তবে, নিষেধাজ্ঞা পেছানো হলেও হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হবে না বলেও জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক সেক্রেটারি উইলবার রস বলেন, যেসব টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর নির্ভরশীল, নিষেধাজ্ঞা পেছানোয় এসময়ের মধ্যে তারা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবে।
এক কথায়, হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ও ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য সব ধরনের সেবা চালু থাকবে।
হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেন ঝেংফেই একসময় চীনের সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন।
মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, হুওয়ায়ের ‘সন্দেহজনক’ কার্যক্রমের পেছনে চীনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মদদ আছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির তৈরি প্রযুক্তিপণ্যের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো থেকে তথ্য পাচার হতে পারে।
একারণে, মিত্রদেশগুলোর ওপর হুয়াওয়ের পণ্য বর্জনে চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, ৫জি সেবায় হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে উল্লেখ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
একইসময়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ সব মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হুয়াওয়ের সঙ্গে প্রযুক্তিপণ্য কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সোমবার (২০ মে) এ নিষেধাজ্ঞা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এ লড়াই শুধু রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার খাতিরেই নয়। বরং, হুয়াওয়ের উত্থানকে বিশ্বের প্রযুক্তি বাজার ও অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে চীন উপরে উঠে যাওয়ার ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
একে