তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি নির্ভর ডাকঘরের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি অপরিহার্য। বিদ্যমান ডাক সেবাকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্রুত ডাক সেবা পৌঁছাতে করণীয় চিহ্নিত করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকায় ডাক অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ডাক সেবার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক সেবা ছিলো এক সময় মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনের একমাত্র উপায়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষের হাতে হাতে যোগাযোগের ডিভাইস চলে আসছে। সামনের দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ৫জি প্রযুক্তিযুক্ত হওয়ার পর মানুষের জীবনের যে কী পরিবর্তন আসবে তা কেউ আন্দাজও করতে পারছেন না। প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডাক বিভাগকে রূপান্তর ঘটাতে হবে।
ডাক বিভাগের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শত বছরের পশ্চাৎপদতাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। গত দশ বছরে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাক ঘর ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের মাধ্যমে ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তরে সরকার বদ্ধপরিকর।
ডাক অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সবক্ষেত্রে যে ডিজিটাল রূপান্তর চলছে, এক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে সে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যে প্রযুক্তি আমাদের ডিজিটাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সে বিষয়টির পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এতে ডাক অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং ডাক সার্ভিস ট্রাকিং চালু সংক্রান্ত বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/আরবি/