ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট: পলক এস্তোনিয়ার রাজধানীর তাল্লিনে পঞ্চম ই-গভর্নেস সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। আর সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্ব নেতাদের জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। 

বুধবার (২২ মে) এস্তোনিয়ার রাজধানীর তাল্লিনে ‘পঞ্চম ই-গভর্নেস সম্মেলন-২০১৯’ এ তিনি কথা বলেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মিনিস্ট্রিয়াল প্যানেলের আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন জুনাইদ আহমেদ পলক।


 
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে নিজ সোসাইটির ট্রান্সফর্মেশন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এ রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এ চারটি মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে এক মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে। গত দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল পাঁচ মিলিয়ন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতো না। বর্তমান সরকার এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌছে দিচ্ছে। ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে নয় কোটিতে পৌঁছেছে।
 
ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমি সম্ভব নয় উল্লেখ করে পলক বলেন, সরকার শহর থেকে গ্রামে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে ৫শ’ এর অধিক ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতি মাসে ছয় মিলিয়ন মানুষ এ ডিজিটাল সেন্টার হতে ২শ’ এর অধিক বিভিন্ন সেবা পাচ্ছে। গত ১০ বছর আগে আইসিটি খাতে রফতানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকারের ব্যবসা বান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বর্তমানে রফতানির পরিমাণ এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট দিচ্ছে, মেন্টরিং, কোচিং ও রিসার্চ ডেভেলপমেন্টের জন্য ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
 
সরকার আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, রফতানি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ, ৯০ ভাগ সেবা অনলাইনে দেওয়া, দেশের শতকরা শতভাগ জনগণকে কানেক্টিভির আওতায় আনা এবং আরও এক মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে সরকার।  
 
উক্ত প্যানেল আলোচনায় বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।  
 
এর আগে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কের্তি কালজুলায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাল্লিনের সুইসটল তাল্লিন হোটেলে এ সাক্ষাৎ করেন তারা।

প্রতিমন্ত্রী পলক ‘ভিশন-২০২১’ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সাফল্য এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় বলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।