আগামী ১২ জুন বেলা ১১টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, গণশুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, ভোক্তা সংঘ, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ আগ্রহী যে কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পারবেন।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গের অনলাইন নিবন্ধন করা আবশ্যক। নিবন্ধনের জন্য ৩ জুনের মধ্যে www.btrc.gov.bd/registration-form ওয়েবসাইট হতে নির্ধারিত ফর্ম পূরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, প্রশ্ন, উপদেশ অনলাইন ফরম পূরণ করে ৩ জুনের মধ্যে নিবন্ধনপূর্বক পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে বিটিআরসি।
শুধুমাত্র য়ৌক্তিক প্রশ্ন, বক্তব্য, উপদেশ প্রদানকারীদের ফিরতি ই-মেইলের মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
গণশুনানিতে অবশ্যই বিটিআরসি থেকে পাঠানো নিশ্চিতকরণ ই-মেইল এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে।
মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে প্রথমবারের মতো বিটিআরসি ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর গণশুনানির আয়োজন করে।
বিটিআরসি জানায়, মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া হবে।
এছাড়া সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হবে।
গণশুনানিকালে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার এবং ইন্টারনেট গ্রাহক নয় কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ