বুধবার (১২ জুন) বেলা ১১টায় রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মোবাইল অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতে নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত দেবেন বলে জানান জাকির হোসেন।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, ভোক্তা সংঘ, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ আগ্রহীদের মধ্যে প্রায় এক হাজার ৬০০ জন নিবন্ধন করেছেন।
গণশুনানিতে অবশ্যই বিটিআরসি থেকে পাঠানো নিশ্চিতকরণ ই-মেইল এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে।
মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে প্রথমবারের মতো বিটিআরসি ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর গণশুনানির আয়োজন করেছিল।
বিটিআরসি জানায়, মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া হবে।
এছাড়াও সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হবে।
গণশুনানিকালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
পরবর্তীতে এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে বলে জানায় বিটিআরসি।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মার্চে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার এবং ইন্টারনেট গ্রাহক নয় কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ