সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলের উফা শহরে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভাষ্যেই এসব কথা উঠে আসে।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসীরা ডিজিটাল মাধ্যমকে হ্যাকিংসহ বিশ্বব্যাপী তাদের প্রচারণা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার কাজে ব্যবহার করছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ইউরি কোকোভ বলেন, প্রযুক্তির এতো দ্রুত অগ্রসরতায় সন্ত্রাসীরা সক্রিয়ভাবে ইন্টারনেটেই সদস্য নিয়োগ, তহবিল সংগ্রহ ও হ্যাকিংসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধগুলো করছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সদস্য এবং সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর প্রায় ৩০ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সন্ত্রাসীরা পারমাণবিক, কেমিক্যাল ও জীবতাত্ত্বিক অস্ত্র নির্মাণের তথ্য সংগ্রহে বিরামহীন চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান কোকোভ।
সবশেষে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে পরিচালিত ‘ডিজিটাল সন্ত্রাসবাদ’ ভবিষ্যতে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর হবে বলেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা কোকোভ।
ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। ব্যাংক কিংবা এটিএম বুথের টাকা লুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের তথ্য চুরির ঘটনাও ঘটছে এ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই।
কোকোভ বলেন, ইন্টারনেটই আমাদের জীবনকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জীবনকে করেছে সহজতর। এর কল্যাণেই বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। তবে এর নেতিবাচক দিকগুলোও অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসএ/এইচএ/