ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা না, সম্পদ: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা না, সম্পদ: পলক জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা: প্রতিবন্ধীরা দেশ ও সমাজের জন্য বোঝা নয়, বরং সম্পদ। প্রতিবন্ধীরা বিশেষভাবে অক্ষম নন, বরং তারা বিশেষভাবে সক্ষম বলে মনে করেন তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আয়োজিত জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্বের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

প্রতিবন্ধীদের আগে যেভাবে বাঁকা চোখে দেখা হতো তার আর সুযোগ নেই উল্লেখ করে পলক বলেন, আগে সমাজে প্রতিবন্ধীদের যে দৃষ্টিতে দেখা হতো সেই সুযোগ এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে এদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে। সমাজে তাদের অধিকার নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাও ঘরে বসে নেই। নিজ নিজ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছেন।  

প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান পলক। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় তিন হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিবন্ধীদের সক্ষমতার একটি ডাটাবেজ করা হবে। সেই ডাটাবেজ একটি জব পোর্টাল থাকবে, যেখান থেকে যে কোনো স্থানের চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে চাকরিদাতার যোগাযোগ হবে। সেই পোর্টালেই চাকরির আবেদন ও সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।  

‘আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো আমরা, যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীরা। প্রতিবন্ধীদের অনেকে বিশেষভাবে অক্ষম বলে কিন্তু আমি বিশেষভাবে সক্ষম বলি তাদের। ’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে তিনজন করে মোট ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিভাগে বগুড়ার সহদেব কুমার, সিলেটের জয়দ্বীন রায় এবং বরিশালের জহিদুল ইসলাম; শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে বরিশালের সাজ্জাদুল ইসলাম স্বাধীন, ইয়ামিন হোসেন আমিন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সজীব আলী; বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী বিভাগে কুষ্টিয়ার নাজমুস সাইফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও ঢাকার ফারহান ইকবাল এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী বিভাগে ঢাকার রিশতা গালিব, ফেনীর রাফিউল ইসলাম এবং ঢাকার আশিকুর রহমান।  

এছাড়াও বিশেষ ক্যাটাগরিতে আরও দু’জন প্রতিযোগীকে পুরষ্কৃত করা হয়।  

২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী এমন জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রহমোবারের মতো আয়োজিত হয়। চলতি বছর এটির চতুর্থ আসর সমাপ্ত হলো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।