ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চায় বিআইজেএফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
আইসিটিতে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চায় বিআইজেএফ আলোচনা সভায় বাজেট নিয়ে নিজেদের এমন প্রতিক্রিয়া জানায় বিআইজেএফ

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি বা আইসিটি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চায় বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম  (বিআইজেএফ)। 

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে এবারের বাজেটে এই খাতের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণের অর্থ বরাদ্দ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন দেশের আইসিটি খাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠনটি।
 
রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক আলোচনা সভায় বাজেট নিয়ে নিজেদের এমন প্রতিক্রিয়া জানায় বিআইজেএফ।

‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট: তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সভায় বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রার বছর ২০১০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ছিল ৫০০ কোটি টাকারও কম।  মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা; যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ ২০ শতাংশ বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে।
 
বিআইজেএফ মনে করে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এ বরাদ্দ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে এ খাতের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০১০ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে তথ্যপ্রযুক্তি অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইসিটির চারটি বিষয়কে অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- সরকারের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে ই-গভর্নেন্স; মানবসম্পদ উন্নয়নে ই-শিক্ষা; দেশীয়-বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ই-বাণিজ্য এবং সরকারের সেবাগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-সেবা। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যাচ্ছে ই-বাণিজ্যে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আবার ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ই-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শীর্ষ মাধ্যম আমদানিকৃত স্মার্টফোনে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বর্ধিত এ ভ্যাট এবং শুল্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবিকে যৌক্তিক মনে করে ই-বাণিজ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার এবং আমদানিকৃত স্মার্টফোনে শুল্ক আগামী দুই বছরের জন্য ১৫ শতাংশ করার পরামর্শ দেন বক্তারা।

এছাড়া ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষায় বাজেটে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকার তাগিদ আসে আলোচনা সভা থেকে। আর সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আরও প্রায় দশটি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।
 
অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউয়ের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির। বিআইজেএফ’র সিনিয়র সদস্য পল্লব মোহাইমেন, আব্দুল হক অনু, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিআইজেএফ সহ-সভাপতি নাজনীন নাহার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাছিব রহমান, কোষাধ্যক্ষ এনামুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম রাহাদ এবং নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান সোহেল ও রাহিতুল ইসলাম রুয়েলসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।