ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেট সেবায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ডেনমার্ক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
ইন্টারনেট সেবায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ডেনমার্ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইসরাফ পিটারসন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা দিতে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ডেনমার্ক। ডেনমার্ক প্রস্তাবিত ‘ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গাল অ্যান্ড হাওড় এরিয়া’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্গম দ্বীপ ও হাওড় অঞ্চলের গ্রামীণজনগোষ্ঠীর মাঝে উচ্চগতির ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা পৌঁছাতে এই অর্থ ব্যয় হবে।

রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইসরাফ পিটারসন। বৈঠকে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী পলককে ডেনমার্ক সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।

বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাল জেপসন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকহোসনে আরা বেগমসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিশেষত ‘ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গাল অ্যান্ড হাওড় এরিয়া’ প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন দুই পক্ষ।

বৈঠকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে সাবমেরিন ফাইবার অপটিক ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলসমূহে সংযোগ স্থাপন করে সেখানকার জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। উপকূলীয় হাওড় ও দেশের উত্তর-পূর্ব দ্বীপ অঞ্চলে ফাইবার অপটিক্যাল সংযোগের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ই-সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রামীন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০টি আইসিটি রিসোর্স সেন্টার তৈরি করা হবে ও বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। এছাড়াও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যাবে।

বৈঠকে আরো জানানো হয়, এই প্রকল্পে স্থাপিত অবকাঠামোর মাধ্যমে হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে এবং এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে জ্ঞাননির্ভর সমাজ তথাডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, কানেকটিভিটি, ই-কর্মাস ও ইন্ড্রাস্ট্রি প্রমোশন এ ৪টি স্তম্ভ উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ডেনমার্ককে আইসিটিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। হাই-টেক পার্কসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্ক মওকুফসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

ডেনিশ রাষ্ট্রদূত উইনি ইসরাফ পিটারসন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।