মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিনা নোটিশে প্রায় তিনশ কর্মীকে ছাঁটাই করে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। প্রতিষ্ঠানের এমন পদক্ষেপের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে পাঠাও বিক্রি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার তথ্য দেয় বেশ কয়েকটি সূত্র।
নাম বা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এসব সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ মূলধন প্রায় শেষ হয়ে আসা, নতুন বিনিয়োগের যোগান না আসা তথা অর্থাভাবে ধুঁকছে পাঠাও। গত মার্চ মাসে প্রায় দেড়শ কর্মীকে ছাঁটাই করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মহড়া। তবে সেবার অর্থাভাবের বদলে চাকরিচ্যুত কর্মীদের ‘অযোগ্যতা’ ও ‘অদক্ষতা’কে দায়ী করা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
পাঠাওয়ের মধ্যম পর্যায়ের সদ্য সাবেক এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পাঠাওয়ের সঙ্গে সিইও স্যারের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে আসছে। প্রায় চার বছর যাবত তিনি এই পদে আছেন। এরইমধ্যে অর্থাভাব ও নতুন বিনিয়োগ না থাকার মতো বিষয় দেখা দিয়েছে। তিনি চাইছেন কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে কোম্পানির ব্যয় কম দেখিয়ে ভ্যালুয়েশন বাড়ানোর। যেন তিনি পাঠাওকে কোনো বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করতে পারেন। বিক্রি করে দিলে আর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে হয় তিনি সিইও পদ হারাবেন নয়তো নিজেও পদত্যাগ করতে পারেন।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট কার্যালয় মিলিয়ে এখন প্রায় চারশর কিছু বেশি কর্মী পাঠাওতে কর্মরত আছেন বলে জানা যায়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও প্রায় দেড়শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে।
সূত্রটির দাবি, সর্বসাকুল্যে কর্মী সংখ্যা প্রায় ১৫০-এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে দেশীয় প্রেক্ষাপটে সাড়া জাগানো স্টার্টাপ পাঠাও-এর। আর এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে আত্মীয়, সুসম্পর্কে থাকা ও সর্বাধিক বিশ্বস্ত কর্মীরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পাঠাও-এর মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান সৈয়দা নাবিলা মাহবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ এজেন্সির মাধ্যমে লিখিত প্রশ্ন ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাঠাও বা এজেন্সির তরফ থেকে দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/এএ