বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে দু’জনকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানোর পর স্টোমাক ওয়াশ (পাকস্থলী পরিষ্কার) করা হয়।
এ দু’জন হলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম (৪৮) ও উবার গাড়ির চালক মো. মাইদুল ইসলাম (২৮)।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান উভয়কে বাংলানউজকে জানান, দু’জনকেই দেখে মনে হচ্ছিল তারা পয়জনিংজনিত কারণে অচেতন হয়ে গেছেন। অন্য কোনো কারণে গাড়িতে একসঙ্গে দু’জনের অচেতন হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া গাড়িতে এসিও থাকে। আর এমনও কোনো গ্যাস থাকে না যে অচেতন হয়ে যাবেন দু’জনেই।
চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর যাত্রী রেজাউল বাংলানিউজকে জানান, তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। বুধবার (২৬ জুন) তিনি মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় তারা এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে এক আত্মীয়ের মোবাইলের মাধ্যমে উবারকে কল করা হয়। সেখান থেকে গাড়িতে ওঠে সেগুনবাগিচার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাড়িটি কাকরাইল এলাকায় এলে ধীরে ধীরে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। আর কিছুই মনে নেই তার। তার কাছে তখন প্রায় ৮ লাখ টাকা ছিল। তবে সেগুলি পুলিশ উদ্ধার করে।
উবার চালক মাইদুল জানান, তার গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ ৩১-৮৬৮২। সিলভার রঙের এই গাড়িতে শেওড়াপাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন সেগুনবাগিচায়। কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে গাড়ি সিগনাল পড়লে হঠাৎ দেখতে পান যাত্রী ঘুমিয়ে আছেন। পরে আস্তে আস্তে তিনি নিজেই চোখে অন্ধকার দেখতে পান, এরপর তিনিই অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চালক ও যাত্রী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া আট লাখ টাকা যাত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/