বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হলেও বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা আগে ভাবতাম যে কম্পিউটারে শুরু কম্পিউটারে শেষ কিন্তু আসলে তা নয়, শেষটা যে কোথায় তা আমরা আপনারা ধারণা করতে পারছি না এর অন্যতম কারণ হলো মোবাইলের বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজনের বিকল্প নেই।
মোবাইল ফোন এখন আর শুধু কথা বলার যন্ত্র নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি দিয়ে এখন হাজারো কাজ হচ্ছে। আগামীদিনের কানেকটিভিটির মূলভিত্তিই হচ্ছে স্মার্টফোন। আর সেখানে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার। আমাদের দেশের প্রায় ৯ কোটি মোবাইল গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তাই বিশাল একটি মার্কেট তাদের সামনে পড়ে আছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে মেলার আয়োজক এবং পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে নিয়ে মেলা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
এর আগে মেলার আয়োজন সম্পর্কে এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান বলেন, ১২তম বারের মতো এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। মূল্যছাড় এবং উপহারের পাশাপশি স্মার্টফোন এবং ট্যাবের সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলো এই আয়োজনের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।
এবারের মেলায় রয়েছে প্লাটিনাম স্পন্সর প্যাভিলিয়ন তিনটি, গোল্ড স্পন্সর প্যাভিলিয়ন দু’টি এবং সিলভার স্পন্সর প্যাভিলিয়ন ১টি। এছাড়াও, ২টি প্যাভিলিয়ন, ৪টি মিনি প্যাভেলিয়ন ও ৩টি স্টল রয়েছে। মূল্যছাড়ের পাশাপাশি উপহার, গিফট বক্স, র্যাফেল ড্র, সেলফি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রেখেছে ব্র্যান্ডগুলো।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা সেবায় দেওয়া হবে। এছাড়াও, প্রতিবন্ধী এবং শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এসএইচএস/এএটি