ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিআরসির সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অযৌক্তিক: গ্রামীণফোন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
বিটিআরসির সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অযৌক্তিক: গ্রামীণফোন সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। ছবি: ডিএচ বাদল

ঢাকা: পাওনা আদায়ের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বেআইনি ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এতে গ্রাহক, স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে।

রোববার (০৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটরটি।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি, হেড অব অপারেশনস সাজ্জাদ হাসিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্দেশনাটি সরাসরি গ্রামীণফোনকে দেওয়া না হলেও বিটিআরসি সরাসরি বলছে অমীমাংসিত অডিট পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডইউথ সীমিত থাকবে।  

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিটিআরসির নির্দেশনাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার ফলে নেটওয়ার্কের অধীনে থাকা গ্রাহকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যা মূলত গ্রামীণফোনের ওপর চাপ তৈরি করতেই দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট আইআইজি অপারেটরদের ওপর। কারণ নির্দেশনার ফলে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ হারাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

তবে পুরো বিষয়টির ওপর নিজেদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও দাবি গ্রামীণফোনের। বিটিআরসির এ পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে করে প্রয়োজনে আদালতের যাওয়ার কথাও জানানো হয় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে।

গ্রামীণফোন সবসময়ই আইন মেনে চলে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ২০১৫ সাল থেকেই জিপি দেশের সবচেয়ে বড় করপোরেট করদাতা হিসেবে স্বীকৃত। এ নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। আমরা বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করছি এবং সালিশ আইন, ২০০১-এর অধীনে অমীমাংসিত অডিট দাবির নিষ্পত্তিতে সহযোগিতার অনুরোধ করছি।

এর আগে অমীমাংসিত অডিট দাবির গঠনমূলক নিষ্পত্তির জন্য গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে একটি সালিশ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিটিআরসি নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানায় গ্রামীণফোন কর্তারা।

চলতি মাসের ৪ তারিখ পাওনা আদায়ের কারণ দেখিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ৩০ শতাংশ এবং রবির ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেয় বিটিআরসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।