ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে রবি’র ‘আর-ভেঞ্চারস ২.০’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে রবি’র ‘আর-ভেঞ্চারস ২.০’ রবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

ঢাকা: দেশের ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। ‘আর-ভেঞ্চারস ২.০’ নামক পদক্ষেপের আওতায় উদ্যোক্তাদের জন্য আয়েজিত এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রত্যেক বিজয়ী উদ্যোক্তা বা উদ্যোক্তা দলকে ৮৪ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করবে অপারেটরটি।
 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ব্যবসায়িক ধারণা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ জুলাই (রোববার)।
 
রোববার (০৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় রবি।

এ সময় কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, চিফ ডিজিটাল সার্ভিসেস অফিসার শিহাব আহমেদ, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মো. ফয়সাল ইমতিয়াজ খান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার রনি তোহমে, চিফ টেকনোলজি অফিসার মেধাত আল-হুসেইনি এবং চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজর টিনা জাবিন। আর-ভেঞ্চারসের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের নিশ্চয়তা নিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।
 
রবির কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিজিটাল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য আর-ভেঞ্চারসের প্রথম পর্বের আয়োজন সফল হয়েছে বলে জানান কোম্পানিটির চিফ ডিজিটাল সার্ভিসেস অফিসার শিহাব আহমেদ। সেই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে রবি কেন দেশের সবার জন্য ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়ার পথ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিলো সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন তিনি।
 
www.robiventures.com ভিজিট করে কোনো ব্যক্তি বা দল এ প্রতিযোগিতার জন্য তাদের ব্যবসায়িক ধারণা জমা দিতে পারবেন।
 
জমা হওয়া ধারণাগুলোর মধ্য থেকে রবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে ১৫০টি ধারণা। এই ধাপ থেকে ৫০টি ধারণা বাছাই করে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এরপর ওই প্রতিযোগীদের অভিজ্ঞ বিচারকদের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপন করতে হবে। এই পর্বটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে।
 
এরপর আরো যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ জন প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই গালা রাউন্ড। আর এই পর্ব থেকেই ঘোষণা করা হবে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম।
 
প্রতিটি স্টার্ট-আপকে প্রতিষ্ঠিত করতে চার থেকে ছয় মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণের আওতায় থাকতে হবে। এই পর্যায়ে বিজয়ীদের ধারণা বাস্তবায়নের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে দিক-নির্দেশনা দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা হবে।
 
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নতুন নতুন ডিজিটাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। ঠিক এই মুহূর্তে নতুন অথবা এরইমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা কোনো ধারণায় অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করলো ‘আর-ভেঞ্চারস ২.০’। দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান এবং আর-ভেঞ্চারসের প্রথম পর্বের সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিশ্বাস নতুন উদ্যোক্তাদের আমাদের তত্ত্বাবধানে রেখে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সহযোগী হতে পারবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।