ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘মানুষ প্রকৃতি প্রযুক্তি’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
‘মানুষ প্রকৃতি প্রযুক্তি’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ঢাকা: রাশিয়ার ফটোগ্রাফার দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্রে ‘মানুষ, প্রকৃতি, প্রযুক্তি’ শীর্ষক মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ, ভারত, হাঙ্গেরি, মিশর ও বেলারুশের পেশাদার ও সৌখিন আলোকচিত্রীদের ২৪টি অনন্য কর্ম নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রদর্শনীটি আয়োজন করে রুশ সংস্থা ‘এনার্জি অফ দা ফিউচার’।  

রশিয়ার প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বিশ্বের যেসব দেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে সেই সব দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি, বন্যপ্রাণী, উচ্চ প্রযুক্তিসহ বিশ্বের বৈচিত্রময় সৌন্দর্য্য সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে প্রদর্শনীটি।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশেও প্রথম পারমাণমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি পরপোরেশন রোসাটরে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এবছর অনুষ্ঠিত ‘এএসই আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী-২০১৯’ এ পাঠানো কয়েকশ আলোকচিত্রের মধ্য থেকে একটি আন্তর্জাতিক জুরি কমিটি শ্রেষ্ঠ ২৪টি আলোকচিত্র পুরষ্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেন। এর মধ্যে আটটি ছয়জন বাংলাদেশি আলোকচিত্রীদের। যেসব বাংলাদেশিদের আলোকচিত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়, তারা হলেন- পলাশ শিকদার, মুহাইমেন উর রশীদ, সাইফ সুমন, মির্জা শাকিল, আলামীন লিওন এবং মিহির কুমার শীল।  

ইংরেজি দৈনিক দা ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার মির্জা শাকিল তার ‘সেলিব্রেশন অফ লাইফ’ আলোকচিত্রটির জন্য পুরস্কৃত হন। অন্য তিনজন পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন- বেলারুশের আলেক্সি গেরাসিমেনকা, হাঙ্গেরির পিটার কিস এবং ভারতের বিক্রম রেড্ডী। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট (এএসই)। এএসই জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নভোথিয়েটারের পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্র এবং বেলারুশের রাজধানী মিন্সকের অনুরূপ একটি তথ্যকেন্দ্রের মধ্যে টেলি-কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।  

বেলারুশও বাংলাদেশের মতো রুশ সহায়তায় তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। টেলি-কনফারেন্সে উপস্থিত উভয় দেশের আলোকচিত্রীরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি বিনিময় করেন। উভয় দেশের উপস্থিত দর্শকরাও প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বিভিন্ন আলোকচিত্র নিয়ে তাদের মন্তব্য ও অনুভূতি বিনিময় করেন।  

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফটগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এবং স্বনামধন্য আলোকচিত্রী ইউসুফ তুষার ‘কীভাবে ভালো ফটোগ্রাফার হওয়া যায়’ বিষয়ক একটি মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করেন। ক্লাসে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং বুয়েট নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্যরা।  

অধ্যাপক রশীদ সরকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির নিরাপত্তা বৈশিষ্ট সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ম্যাকসিম দবরোখোতভ উপস্থিত থেকে এএসই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য বাংলাদেশি আলোকচিত্রীদের সনদপত্র হস্তান্তর করেন।

নভোথিয়েটারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্রে আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি প্রতিদিন (বুধবার ছাড়া) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আগ্রহী পরিদর্শনকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯ 
এসকে/জিপি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।