সোমবার (১৫ জুলাই) গ্রামীণফোনের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছে, যেটি ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শক্তিশালী ফলাফল অর্জন করেছি। এ সময়ে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছি। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ জনসংখ্যা গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। নতুনভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের সেবাগুলোর পুনর্বিন্যাস করেছি। ভয়েস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা ভালো প্রবৃদ্ধি দেখেছি। এই সময়ে প্রতি গ্রাহকের মোবাইলসেবা ব্যবহারও বেড়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডাদের স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি গ্রাহকদের যথাযথ মানসম্মত সেবা অব্যাহত রাখবো।
গ্রামীণফোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা, যেখানে মার্জিন ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৭ টাকা।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিএফও মোস্তফা আলিম আওলাদ বলেন, গ্রামীণফোন প্রথম ছয় মাসে শক্ত মার্জিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে মানসম্মত গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে আমাদের লাভজনক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আশাবাদী। গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
২০১৯ দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৮০ কোটি বিনিয়োগ করেছে। এসময়ে প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে এবং পাশাপাশি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে অর্থ ব্যয় করেছে। গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৭৬। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স ও স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ