ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জিপি-রবি’র কমানো ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জিপি-রবি’র কমানো ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ঢাকা: রাজস্ব বকেয়া আদায়ে গ্রামীণফোন এবং রবি’র কমানো ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এ তথ্য জানান।
 
গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি’র রাজস্ব পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবি’র কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

দীর্ঘ দিনের এ পাওনা পরিশোধ না করায় গত ৪ জুলাই বিটিআরসি পাঁচটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে গ্রামীণফোন এবং রবি’র অনুকূলে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ কিছু বন্ধ করার ব্যবস্থা করলাম। উদ্দেশ্যে হলো সরকারি টাকা যেন উদ্ধার হয়ে যায়। এটা পাবলিক ডিমান্ড, রাষ্ট্রীয় টাকা। এটা কারো মাফ করারও ক্ষমতা নেই। কম নেওয়ারও সুযোগ নেই।
 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় দুই অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
 
‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ব্যান্ডউইথ বন্ধ করার ফলে সাধারণ মানুষের কখনো কখনো কিছু সমস্যা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্যান্ডউইথ প্রত্যাহার করে নেবো। আমরা অতিসত্বর প্রত্যাহার করে নেবো। আজকে ব্যান্ডউইথ ইফেক্ট হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব। ’
 
পাওনা আদায়ে কী ব্যবস্তা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনে যেসব ব্যবস্থা আছে তা প্রয়োগ করে টাকা তোলার ব্যবস্থা করবো। আমাদের আইনে আরবিটেশনের (মীমাংসা) সুযোগ নেই। বিটিআরসি আইনের বাইরে যেতে পারে না। আমরা আরবিটেশন না করে এই টাকা দাবি করছি, আশা করি অতিসত্বর পেয়ে যাবো।
 
পরবর্তীতে তাহলে পদক্ষেপ কী হবে- প্রশ্নে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এনওসি বন্ধ করা যায়। তারপরের স্টেপ দেখা যাক কী হয়… অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিধান। এনওসি আমরা অতিসত্বর বন্ধ করে দেবো। এনওসি বন্ধ করলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হবে। যখন সমস্যা হবে তখন আশা করি দিয়ে দেবে। খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।
 
বিটিআরসি’র একজন কর্মকর্তা বলেন, নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ আনা এবং বর্তমান যে বিটিএস আছে সেগুলো মেনটেন্যান্স করার জন্য এনওসি প্রয়োজন হয়। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে যে সমস্ত যন্ত্রাংশ নিয়ে আসে সেগুলো বন্ধ করে দিতে পারি।
 
ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কিনা- প্রশ্নে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, না, এটা আইনানুগ সিদ্ধান্ত। আমরা এনওসি বন্ধ করলে আরও কঠোর হবে। আমরা সিম্পল থেকে আরও কঠোর হলাম।  
 
ব্যান্ডউইথ কমানোয় সরকারের ক্ষতির বিষয়ে কোনো স্টাডি হয়নি বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, বাংলালিংক এবং এয়ারটেলের অডিটের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।
 
গ্রামীণফোনের বিষয়ে এসএমপির শর্তগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান জহুরুল হক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।