সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্যাংকিং পরবর্তী ডিজিটাল নেতৃত্ব সম্মেলন’ শীর্ষক এক আয়োজনে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা আগে শ্রমভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভর করতাম। এখন আমরা প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির জাতিতে নিজেদেরকে রূপান্তর করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার সুযোগ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী তিনটি পরিকল্পনাকে ‘বাতিঘর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো- আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের সব সুবিধা গ্রামে নিয়ে যাওয়া, তারুণ্যের শক্তি এবং সুশাসন। আর ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- মানব সম্পদ উন্নয়ন, নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা, ডিজিটাল সরকার এবং আইটি বা আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রির সম্প্রসারণ। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে জনগণকে প্রায় ৯০ শতাংশ সেবা আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দিচ্ছি। আইটি পণ্য বা সেবা রপ্তানির পরিমাণ এখন ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা, আগামী চার বছরের মধ্যে আমরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। এই খাতে প্রায় ১০ লাখ তরুণ কাজ করছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আছে আমাদের।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেক মাহিন্দ্রাকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ উল্লেখ করে পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে টেক মাহিন্দ্রা আমাদের সত্যিকার বন্ধু। এধরনের বিনিয়োগকারী বন্ধুদের আমরা সবসময়ই স্বাগত জানাই। তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে। যেমন- ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুনাফার ওপর কর মওকুফ, ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত, ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানিতে ক্যাশ বোনাস ইত্যাদি। বাংলাদেশ বিনিয়োগের একটি আদর্শ স্থান।
নিজেদের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে টেক মাহিন্দ্রার গ্লোবাল কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট ও বিজনেস হেড সুজিত বক্সী বলেন, বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি দেখেছি। এখানকার লিডিং এন্টারপ্রাইজ এবং ডিজিটাল টেকনোলজি প্রকৃতি আমাদের আকর্ষণ করেছে। টেক মাহিন্দ্রা ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। স্থানীয় প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে বাস্তব করতে চাই।
সুজিত আরও বলেন, টেক মাহিন্দ্রা বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশের বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল সেবাগুলো অফার করছে। যার মধ্যে গ্রাহক হিসেবে রয়েছে টেলিকম এবং ব্যাংকিং, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এবং ইন্স্যুরেন্সের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেবা বাড়ানোর একটা অংশ হিসেবে টেক মাহিন্দ্রা গুরুত্ব দিচ্ছে ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্পে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং শিল্প কারখানাগুলোতে গুরুত্ব রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
সম্মেলনে টেক মাহিন্দ্রার বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডিউল তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এসএইএস/জেডএস