রেডমি ৬এ মডেলের ফোনের সামগ্রিক আপগ্রেড নিয়েই তৈরি করা হয়েছে রেডমি ৭এ। ১১ হাজার ৪৯৯ টাকার এই ফোনে রয়েছে- সনি আইএমএক্স ৪৮৬ সেন্সরের ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ২ গিগাহার্জ ক্লক স্পিডের অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩৯ চিপসেট ও ৪০০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি।
গ্রাহকদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সেবা ও পণ্যের গুনগত মান নিশ্চিতে রেডমি ৭এ মডেলের ফোনটিতে দেওয়া হচ্ছে দুই বছরের ওয়ারেন্টি। শুধু পণ্যের মান ভালো করাই নয়, পণ্যের বিক্রি পরবর্তী সেবা দেওয়াতেও এগিয়ে রয়েছে শাওমি।
শাওমি ইন্ডিয়ার ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের হেড অব ওভারসিজ অ্যাক্সপ্যানশন সংকেত আগারওয়াল বলেন, বাংলাদেশের শাওমি ভক্তদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এই রেডমি ৭এ নিয়ে আসতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। দারুন সব ফিচারের সমন্বয়ে গঠিত রেডমি ৭এ-তে রয়েছে সনি আইএমএক্স ৪৮৬ সেন্সরের ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ও ২ গিগাহার্জ ক্লক স্পিডের অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩৯ চিপসেট। এছাড়াও রেডমি এ সিরিজ স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে রেডমি ৭এ-ই প্রথম ফোন যাতে রয়েছে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। যেহেতু আমরা সর্বাধিক মানসম্পন্ন স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখায় বিশ্বাস করি, তাই আমরা রেডমি ৭এ তে ২ বছরের ওয়ারেন্টিও দিচ্ছি।
‘আমরা আশাবাদী যে, রেডমি ৭এ সাশ্রয়ী মূল্যের পাশাপাশি উদ্ভাবনের ধারাবাহিক অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমাদের ভক্ত ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য উন্নতমানের স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। ’
এই সেগমেন্টের ডিভাইসগুলোর মধ্যে রেডমি ৭এ-ই একমাত্র ডিভাইস যাতে ১২ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স ৪৮৬ সেন্সর রয়েছে। অসাধারণ সব পোর্ট্রেট সেলফি তোলার জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে এআই পোর্ট্রেট মুডের ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ব্যবহারকারীকে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে রেডমি ৭এ মডেলের ফোনে আরও রয়েছে- ওয়্যারলেস এফএম রেডিও, ১৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার (৫ দশমিক ৪৫ ইঞ্চি) এইচডি ফুল স্ক্রিন ডিসপ্লে, ডুয়েল সিম সাপোর্ট, ডেডিকেটেড মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। এছাড়া দুর্ঘটনাবশত ফোনটি পড়ে গেলে বা ফোনের ওপর কিছু পড়লে এর রেইনফোর্সড কর্নারস ও স্প্ল্যাশ-প্রুফ ডিজাইন ফোনটিকে সুরক্ষা করবে।
রেডমি ৭এ ফোনটি ম্যাট ব্ল্যাক ও জেম ব্লু- এই দুইটি রঙে পাওয়া যাবে। ২৫ জুলাই থেকেই ফোনটির ২জিবি+৩২জিবি ভার্সন দেশের অনুমোদিত শাওমি স্টোর ও রিটেইল আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাবে।
২০১০ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয় শাওমি করপোরেশন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই হংকং স্টক অ্যাক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। শাওমির তৈরি মোবাইল ফোন সারা বিশ্বেই বিক্রি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তর স্মার্টফোনের ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শাওমির। বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা আইটি ফার্মও প্রতিষ্ঠা করেছে শাওমিই।
গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে ক্রমাগত নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছে শাওমি। গুণগত মান ও দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের ফোন সরবরাহ করছে শাওমি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শাওমির পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক বাজারে শীর্ষ স্থানেই রয়েছে শাওমি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এসএ/