ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডাকঘর থেকে ৯০০ ডিজিটাল সেবা: মোস্তাফা জব্বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
ডাকঘর থেকে ৯০০ ডিজিটাল সেবা: মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সরকারি সেবা প্রদানে দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ‘ডিজিটাল ডাকঘর’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
 

ডাকঘরগুলোর ডিজিটাল রূপান্তর করে সরকারের ৯০০ ডিজিটাল সেবা ডাকঘর থেকেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
 
শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স -২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।


 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়ি পৌঁছানোর সক্ষমতা ডাক অধিদপ্তরের আছে। এই সক্ষমতা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সরকারি সেবা প্রদানের সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
 
ডাকঘর সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করে শহরের ডিজিটালসেবাগুলো বিশেষ করে জনগণের জন্য সরকারের ৯০০ ডিজিটাল সেবা জনগণ ঘরে বসে পাবেন, ডাকঘর থেকেও দেওয়া হবে।
 
গত সাড়ে ১০ বছরে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে অভাবনীয় অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীটা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। চারপাশে অভাবনীয় প্রযুক্তি থাকবে। ভবিষ্যতে কী প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে আমরা জানি না, বিশেষজ্ঞরাও বলতে পারছেন না।
 
‘প্রযুক্তিতে আমরা শতশত বছরের পেছনে থেকেও গত সাড়ে ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ জয়ের  নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রযুক্তি দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। ’
 
ডাকমন্ত্রী বলেন, স্মারক ডাকটিকিট নতুন প্রজন্মের জন্য জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সৃজনশীল সংযোগের অসাধারণ এক সেতুবন্ধন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও ঘটনাপ্রবাহের ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি। ডাক টিকিট সংগ্রহে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই বলে এটি শখ হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত।
 
তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহের শখটি আরো জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর এবং ফেলাটেলিক ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
 
স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই প্রবাসী বাঙালি বিমান মল্লিক কর্তৃক নকশাকৃত বাংলাদেশ শিরোনামে অাটটি ডাকটিকিটের একটি সেট লন্ডন এবং মুজিবনগরে একযোগে প্রকাশ করে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টিতে এই ডাক টিকিটের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম এবং বাংলাপেক্স সাংগঠনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনোয়ারুল কাদির বক্তব্য দেন।
 
মন্ত্রী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি ওভার প্রিন্ট অবমুক্ত করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।