শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ৫০ তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়। সেই সঙ্গে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’র শুভ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত পাবলিক ওয়াইফাই জোন ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বলিত আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভেলেন্স সিস্টেম এবং তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত তথ্য অধিকার (আরটিআই) অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমের পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজ খুবই ভালো লাগছে, ডিজিটাল সিলেট সিটির উদ্বোধন করতে পেরে। কেননা, এটি নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম, এখন এটা হয়ে গেলো।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা চালু করেছিলেন। স্মার্ট সিটি হওয়াতে প্রবাসীরা বিদেশ থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্যাক্স দিতে পারবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গ্রামে আধুনিক সুযোগ সুবিধা না পেলে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী শহর এলাকায় বসবাসের জন্য ছুটে আসবে। আর গ্রামেই শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে তখন মানুষ গ্রামেই থাকবে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশেও এটি দৃশ্যমান। মানুষ শহরে বসবাসের জন্যই ছুটে আসছে।
তিনি বলেন, ১০ বছর আগে যখন প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্রকল্পটির ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন ৪০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। ৫০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত না। দেশের রাস্তাঘাট, লেখা-পড়া সব কিছুতেই ছিল অব্যবস্থাপনা। তখন প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা শুনে অনেকে ঠাট্টা করেছেন। রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ এটা নিয়ে অপপ্রচার করেছে। কিন্তু ১০ বছর পরে এসে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় আমরা অর্থনৈতিকভাবে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি। এটি এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ঘরে এখন বিদ্যুৎ, প্রায় ৯ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেটের সংযোগ রয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নেও ফাইবার অপটিক লাইন পৌঁছে গেছে। আমাদের টার্গেট আগামী বছরে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে ১ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪০ হাজার সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ২ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ফাইবার অপটিক লাইনের আওতায় আনা।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার মুর্তুজা আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ্র, বিসিসি’র সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং ও সার্টিফিকেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়াও প্রধান সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এনইউ/এসআইএস