ঠিক সেই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি বিশেষ সড়কের। যার নাম হতে পারে ‘ইমারজেন্সি রোড’।
শুধু রোগীরাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অথবা আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তি অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ থাকে; তাদের ক্ষেত্রে এ সড়কটি গোপন পথে ব্যবহৃত হতে পারে।
বিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞান মেলায় ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ‘ইমারজেন্সি রোড’ প্রকল্পটি উপস্থাপন করে মানুষের জীবনের গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরে।
শুধু তা-ই নয়, সেই শিক্ষার্থীর আরও একটি বিশেষ প্রকল্প উপস্থাপন করে; যার নাম হাইড্রোলিক জেব্রা ক্রসিং। গাড়ির চালকরা অনেক ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মানেন না বা ইচ্ছে করে ট্রাফিক নির্দেশনা ভঙ্গ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে দু’টো সাবধান লৌহদণ্ড হাইড্রোলিক পাওয়ারের সাহায্যে দাঁড় করানো যাবে। তখন দু’পাড়ে গাড়ি সম্পূর্ণভাবে আটকে থাকবে এবং অপেক্ষমান পথচারীরা সহজেই রাস্তা অতিক্রম করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞানমেলা। মাল্টিপারপাস সোসিও ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিডা) বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (বিএফএফ) সহযোগিতায় ভিক্টোরিয়া অডিটরিয়ামে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
‘জগদীশ চন্দ্র বসু’ নামে সপ্তম শ্রেণির এ গ্রুপটি ইমারজেন্সি রোড, হাইড্রোলিক জেব্রা ক্রসিং ছাড়াও আরও দু’টো প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছে। অপর দু’টো প্রজেক্ট হলো- রেইন ওয়াটার সেভিং ও রেইন এলার্ম। এ গ্রুপের সদস্যরা হলো- বিশ্বপ্রিয়, জুবায়ের, নির্ঝর, ইব্রাহিম ও নাহিদুল।
ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞানমেলায় মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে এমন বিজ্ঞানমেলার তাৎপর্য অপরিসীম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
বিবিবি/আরবি/