যদিও শুরুতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আইফোন বাজারে ছাড়ার প্রচলিত ‘রীতি’তে এবার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত ছিল।
এখনও অ্যাপল কিছু জানায়নি।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, সবসময়ের গুজবকে ধন্যবাদ জানিয়েই বলছি, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, আইফোন প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিনি ক্যামেরা সিস্টেম রেখে প্রযুক্তিপ্রেমীদের চমকে দিতে আসছে। সঙ্গে থাকছে প্রথমবারের মতো পেন্সিল সিস্টেমও। এছাড়া আমরা প্রত্যাশা করছি, এবারের তিনটি মডেলেই সাত ন্যানোমিটারের এ-১৩ চিপ, নতুন ট্যাপটিক ইঞ্জিন এবং একটি উন্নত ফেস আইডি সিস্টেমও থাকবে।
বিভিন্ন গুঞ্জন থেকে নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলছে, আইফোন-১১ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) লঞ্চ হবে। তবে ২০ সেপ্টেম্বরের আগে এটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুধু প্রি-অর্ডার চলবে। এছাড়া ইতোমধ্যেই আমরা জেনেছি, আইফোনের এবারের ফ্ল্যাগশিপ ব্যয়বহুল হবে। কিন্তু কতটুকু ব্যয়বহুল হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি ২০১৮ এর আইফোন লাইনআপের মতো কিছু হয়, তবে সম্ভবত ৯৯৯ পাউন্ড এবং এক হাজার ৯৯ পাউন্ডে শুরু হবে এক্সএস এবং এক্সএস-ম্যাক্স মডেলের দাম। আর এলসিডি মডেল শুরু হতে পারে ৭৯৯ পাউন্ড থেকে।
আইফোনে বড় ধরনের চমক আসছে দাবি করে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ বলছে, অ্যাপল আসছে একসঙ্গে তিন ক্যামেরা সিস্টেমের ফিচার নিয়ে। সঙ্গে ওয়্যারলেস চার্জিং কার্যকারিতা এবং একটি নতুন মাল্টি-এঙ্গেল ফেস আইডি সেন্সরও সংযুক্ত থাকছে।
যদিও এসব তথ্য গুঞ্জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তারপরও বাস্তবতা যে এর ধারেকাছে থাকবে না, এটা কিন্তু নয়। কেননা, অ্যাপল নিয়ে প্রতিবছরই প্রযুক্তিপাড়ার গুঞ্জনই প্রায় সত্যি হয়েছে।
যত যা-ই হোক, আইফোনের আসল ব্যাপার জানতে আরও মাসখানেক অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। আর ততদিনে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ডিভাইসটির নতুন নতুন আরও গুঞ্জন স্মার্টফোন বাজার মাতিয়ে তুলবে।
প্রত্যেক বছরেরই সেপ্টেম্বরে আইফোনের নতুন মডেল উন্মোচন অনুষ্ঠান করে অ্যাপল। সেটাতে মুক্তি পায় বছরের সেরা নতুন নতুন আকর্ষণীয় মডেল। সে হিসেবে প্রযুক্তিপ্রেমীদেরও তুমুল মনোযোগ থাকে মাসটির দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
টিএ