রোববার (২৫ আগস্ট) গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইন বিভাগের সেন্টার ফর এয়ার অ্যান্ড স্পেস ল আয়োজিত ‘কমার্শিয়াল এক্সপ্লোটেশন অব আউটার স্পেশ থ্রো স্যাটেলাইট: প্রোসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর টেকনোলজি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মহকাশ স্পেসের ওপর নির্ভরশীল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জার্মান কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এয়ার অ্যান্ড স্পেস ল’-এর অধ্যাপক স্টিফান হোবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, প্রফেসর ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এয়ার কমডোর শাহারুল হুদা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে অধ্যাপক স্টিফান হোবে বলেন, বর্তমান বিশ্বে স্যাটেলাইটের গুরুত্ব মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। স্যাটেলাইটের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয়- দু’টিই করা যাচ্ছে। এছাড়া ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও এ ধরনের সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবে। এ সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ যদি মহাকাশের সুফল পেতে চায়; তবে অবশ্যই এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহে অনুসাক্ষর করতে হবে। পাশাপাশি মাহাকাশ বিষয়ক দেশীয় আইন প্রণয়নও জরুরি।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আহমেদ উচ্চশিক্ষায় মহাকাশ আইন অন্তর্ভুক্তি এবং এ সংক্রান্ত কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এবং মহকাশে বাংলাদেশের স্পেস নিয়ে বাংলাদেশের করণীয় সক্রান্ত বিভিন্ন দিক উঠে আসে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘স্পেস ল’ এর ওপর বিশেষ কোর্স এবং এ সংক্রান্ত ‘সেন্টার ফর এয়ার অ্যান্ড স্পেস ল’ চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এইচএডি/