ফলে এই প্রান্তিকে মাত্র ১ দশমিক ২ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রবি। কিন্তু ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আর্থিক ক্ষেত্রে আইএফআরএস সিক্সটিন বাস্তবায়ন করায় অর্জিত এই স্বল্প মুনাফা ৩২ দশমিক ২ কোটি টাকার লোকসানে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অপারেটরটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রবির রাজস্ব গত প্রান্তিকের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৮৫৮ দশমিক ৭ কোটি টাকা। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব বেড়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
ভয়েস থেকে কোম্পানির রাজস্ব গত প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত প্রান্তিকের তুলনায় ডেটা থেকে রাজস্ব বেড়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা বেড়েছে ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহক সংখ্যা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ৭৯ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১ লাখে যা মোট গ্রাহকের ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ।
আইএফআরএস সিক্সটিন’র ফিন্যান্সিয়াল ইমপ্লিকেশনগুলো বিবেচনায় না নিয়ে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিনসহ দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে ৬৬২ দশমিক ৬ কোটি টাকায়। পার্সেন্টেজ পয়েন্টে (পিপি) রবির ইবিআইটিডিএ মার্জিন প্রবৃদ্ধি গত প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ পিপি (আইএফআরএস সিক্সটিন বিবেচনায় না নিয়ে) এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা বেড়েছে ১১ পিপি (আইএফআরএস সিক্সটিন বিবেচনায় না নিয়ে)। আইএফআরএস সিক্সটিন বিবেচনায় নিলে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবির ইবিআইটিডিএ দাঁড়ায় ৮৪৯ দশমিক ৯ কোটি টাকায়।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির মূলধনী বিনিয়োগ গত প্রান্তিক থেকে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২৬৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে ৪.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ও অন্যান্য নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের জন্য এ মূলধনী বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশজুড়ে ৮ হাজার ৮০টি সক্রিয় ৪.৫জি সাইট নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম ৪.৫জি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে রবি। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত রবির মোট মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ ২৩ হাজার ৭২০ কেটি টাকা। এই একই সময়ে রবি তার শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে মাত্র ২৯০ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৬৭৯ দশমিক ৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই প্রান্তিক পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রবি।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজস্বের উপর ন্যূনতম ২ শতাংশ কর, ডিজঅ্যালাওয়েন্সে এবং বিদ্যমান প্রতিকূল টেলিযোগাযোগ নীতিমালার কারণে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির আর্থিক ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সিম কর দ্বিগুণ করা এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো আমাদের আর্থিক পরিস্থিতিকে সামনের দিনগুলোতে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। এ প্রান্তিকে আমাদের রাজস্ব অর্জন সন্তোষজনক হলেও পরিবর্তিত কর ব্যবস্থা বাজারের প্রচলিত চ্যালেঞ্জগুলোর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় এ প্রান্তিকে রবি ডেটাথন, সমন্বিত লাইফস্টাইল অ্যাপ নূর মাধ্যমে অনুদান প্রদানের সুযোগ ও ‘ইচ্ছেডানা’র মতো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ